লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথ ব্যবহারে রাজধানী থেকে যশোর পৌঁছাতে লাগবে পৌনে ২ ঘণ্টা

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পদ্মা সেতুর নিচতলায় স্থাপিত রেললিঙ্ক প্রকল্প বদলে দেবে দেশের গোটা রেল নেটওয়ার্কের ধারণা। ঢাকা থেকে নতুন চালু হতে যাওয়া যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কোথাও থাকছে না লেভেল ক্রসিং। দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ ব্যবহার করে রাজধানী থেকে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র পৌনে দুই ঘণ্টা।
ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগ্রেজ লাইনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পাগলা হয়ে বুড়িগঙ্গা পার হয়ে মাওয়া, পদ্মা সেতু, জাজিরা, ভাঙ্গা, নড়াইল, জামদিয়া হয়ে পদ্মভিলা পর্যন্ত যাবে।
এরপর একটি শাখা যশোরের রূপদিয়া স্টেশন এবং অন্যটি খুলনার সিংগিয়া স্টেশনে যুক্ত হবে।
জানা গেছে, আগামী জুলাই থেকে পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন শুরু হবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। এই রেলপথটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলায় প্রথম রেল সংযোগ স্থাপন করবে।

রেলপথের ২৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার উড়াল বা এলিভেটেড। দেশে উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ এটি। এ পথে নতুন ১৪টি সহ ২০টি স্টেশন হচ্ছে নান্দনিক। জুনেই সেতুর নিচতলা রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।
আগামী জুলাই থেকে পদ্মা সেতুর নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপন শুরু হবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। তবে আগামী ডিসেম্বরে মাওয়া-ভাঙা অংশে রেল চলাচল শুরুর টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন গণমাধ্যম কে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে সার্বিক কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া অংশে ৭৮ ও ঢাকা থেকে মাওয়া অংশে অগ্রগতি প্রায় ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়া, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী জুলাইয়ে পদ্মা সেতু হস্তান্তর করা হলে আমাদের মূল সেতুতে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে রেলপথে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ১৯০ কিলোমিটার।’

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আমরা যদি গ্যাস লাইন না করি, তাহলে দেব কী? আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। একটার পর আরেকটা কাজ করতে হবে।’
পদ্মা সেতু রেললিঙ্ক প্রকল্পের পরামর্শক মেজর মো. ইশতিয়াক আল-আজম গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আপনারা জানেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৫৪ ভাগ ছাড়িয়েছে। আর মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অগ্রগতি ৭৮ শতাংশের বেশি।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *