আজকের দেশ রিপোর্ট ঃ ‘বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম এক ধরনের ত্রাণ বিলাস’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা সাহায্য প্রদানের চেয়ে প্রেস-ব্রিফিংয়ে অধিক মনোযোগী। যত দিন পর্যন্ত বিএনপি অপরাজনীতি ছেড়ে জনকল্যাণে মনোনিবেশ না করবে, তত দিন পর্যন্ত তাদের সকল অপকৌশল জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।’
রবিবার ৩ জুলাই, সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ এসব কথা বলেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি নেতারা ‘ত্রাণ বিতরণের নামে যে নাটক করেছে’ দাবি করে তিনি বলেন, তারা ফেনী থেকে ফেরত এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সাহস থাকলে নিশ্চয়ই তারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা জনমানুষের পাশে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আর যারা রাজনীতিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের হাতিয়ার মনে করে, যাদের জন্মই হয়েছিল স্বৈরতন্ত্রকে দীর্ঘস্থায়ী করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য তারা জনগণের দুর্দশা নিয়েও অপরাজনীতি করে।’
‘যে দলের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু, তাদের কাল্পনিক অভিযোগ দিন দিন বাড়বে’- এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বানভাসি মানুষের সঙ্গে লোক দেখানো ফটোসেশন করছে। তাদের এক চিমটি সাহায্য মানুষের ভোগান্তির সঙ্গে নির্মম পরিহাস ছাড়া কিছু নয়। সাহায্যের নামে বিএনপির লোক দেখানো ত্রাণ থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায়।’
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি ‘সন্ত্রাস নির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত’ বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাস নির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে দলটি। তাদের বোঝা উচিৎ, কথামালার বৃষ্টিতে এ দেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও জানে।’