জনগণের একমাত্র আস্থার প্রতীক হয়ে পড়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

Uncategorized স্বাস্থ্য

!! প্রাচীন এই হাসপাতালে রয়েছে তীব্র শয্যা সংকট। নেই পর্যাপ্ত জনবল। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও হাসপাতালটি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেছে।কারণ, দুর্ঘটনায় আহত/জখম, আগুনে দগ্ধ, জটিল ও দূরারোগ্য সহ নানা রোগে আক্রান্ত যেকোনো রোগী এই হাসপাতালে পৌঁছতে পারলে চিকিৎসা সেবা পাবেনই-এমনটা মনে করেন। আর তাই সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন বহু রোগী ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। যে জনবল রয়েছে, সেই জনবল দিয়েই দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা সেবা দেন প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক,নার্স ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানীর সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোও অনেক রোগী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসার জন্য আসা কোনো রোগীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফেরত পাঠায় না। বেডে না হোক, ফ্লোরে, ওয়ার্ডের বারান্দায়, সিঁড়ির নিচে, হাসপাতাল-২ এর সংযোগকারী ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি ও বাথরুমের বারান্দায় হলেও ঠাঁই হয়। তবে যেখানেই রোগীরা থাকুক না কেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। করোনার ভয়াবহ থাবার সময় কোভিড ও নন- কোভিড রোগীদের সমানতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে দৃষ্টান্ত!!

আজকের দেশ রিপোর্ট ঃ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেড না পেয়ে প্রতিদিন মেঝেতে অবস্থান করে বিপুল সংখ্যক রোগী। আর এখানে থেকেই তারা পাচ্ছে জটিল অপারেশন সহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা। দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার শেষ ভরসাস্থল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের।প্রাচীন এই হাসপাতালে রয়েছে তীব্র শয্যা সংকট। নেই পর্যাপ্ত জনবল। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও হাসপাতালটি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেছে।কারণ, দুর্ঘটনায় আহত/জখম, আগুনে দগ্ধ, জটিল ও দূরারোগ্য সহ নানা রোগে আক্রান্ত যেকোনো রোগী এই হাসপাতালে পৌঁছতে পারলে চিকিৎসা সেবা পাবেনই-এমনটা মনে করেন। আর তাই সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন বহু রোগী ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। যে জনবল রয়েছে, সেই জনবল দিয়েই দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা সেবা দেন প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক,নার্স ও কর্মকর্তা,কর্মচারীরা। দেশের সব বিভাগ,জেলা,উপজেলা থেকে শুরু করে রাজধানীর সরকারি,বেসরকারি হাসপাতাল গুলোও অনেক রোগী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসার জন্য আসা কোনো রোগীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফেরত পাঠায় না। বেডে না হোক, ফ্লোরে, ওয়ার্ডের বারান্দায়, সিঁড়ির নিচে, হাসপাতাল-২ এর সংযোগকারী ফুটওভার ব্রিজের মাঝামাঝি ও বাথরুমের বারান্দায় হলেও ঠাঁই হয়। তবে যেখানেই রোগীরা থাকুক না কেন তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। করোনার ভয়াবহ থাবার সময় কোভিড ও নন- কোভিড রোগীদের সমানতালে চিকিত্সা সেবা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এই হাসপাতাল। ওই সময় কোভিডের জন্য নন- কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সেবায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল-২ ও সাবেক বার্ন ইউনিট মিলে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে দুই হাজার ৯০০ শয্যা রয়েছে। যদিও এখানে প্রতিদিন গড়ে চার সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন। জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই হাসপাতালে চিকিত্সা নেন। একই ছাতার নিচে মেলে সব ধরনের চিকিত্সা সেবা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৪২টি অপারেশন থিয়েটার আছে। গাইনির জন্য পৃথক অপারেশন থিয়েটার আছে। নিউরো সার্জারি, গাইনি ও ক্যাজুয়েলটিসহ সব ধরনের জরুরি অপারেশন ২৪ ঘণ্টাতেই হয়ে থাকে। প্রতিদিন ঘটনা, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংকটাপন্ন গড়ে দুই শতাধিক রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন।এরমধ্যে ৯৫ ভাগ রোগীকে ভর্তি করা হয়।জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। কার্ডিয়াক সার্জারি, ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রোলিভার, থোরাসিক সার্জারি, ক্যান্সার, কিডনিসহ সব ধরনের বিশেষায়িত ইউনিট আছে। সব মিলিয়ে মোট ৩৭টি বিভাগ আছে। প্রায় ১৮০০ চিকিৎসক, ২৬৫০ নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী দিনরাত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এনেসথেসিওলজিস্ট সংকট প্রকট। ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবা কর্মীদের টানা ২৪ ঘণ্টা জরুরি অপারেশনসহ চিকিত্সা সেবা দিতে হয়। রোগীদেরকে নিজের সন্তান, বাবা,মা, ভাই-বোন মনে করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। সাব, স্পেশালাইজড ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। কিন্তু ওই ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্যান্য জনবল নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০১০ সালের পর থেকে কোন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ এই সময় পর্যন্ত তিন ভাগের এক ভাগ জনবল অবসরে চলে গেছেন। দুই শতাধিক জনবলের পদ শূন্য রয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব প্রায় ২৫ একর জমিতে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এসবের মধ্যে রয়েছে কলেজ ভবন,মিলনায়তন, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, বার্ন ইউনিট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয়। ১৯৫৫ সালে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কলেজ ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক সুবিধার্থে কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পৃথক করা হয়। কলেজের দায়িত্ব ন্যস্ত হয় অধ্যক্ষের ওপর, হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ হয় পরিচালকের ওপর। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐহিতহাসিক ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ধনী-গরীব সবারই আস্থা অর্জন করেছে। চাহিদার ৯৫ ভাগ ওষুধই রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আগত রোগীদের মধ্যে ৯০ ভাগই দরিদ্র-যাদের বাইরে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব না।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *