নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পাসপোর্ট করতে সরকারি নির্ধারিত ফি বেসরকারি প্রিমিয়ার ব্যাংকের জমা দেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা রিপন বড়ুয়া। ৩ হাজার ৪৫০ টাকা জমার প্রমাণপত্র সহ কাউন্টারে ফাইলটি জমা করতে গেলে সেখানে রিপনের টাকা ভুলবশত জমা হয় অন্য ব্যক্তির নামে। যথাসময়ে পাসপোর্ট নিতে গেলে পাননি তিনি। এভাবে কেটে গেছে ৩ বছর। এখনও পাননি পাসপোর্ট।
পাসপোর্টের সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রামের মনছুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এনায়েত উল্লাহ ও এনরোল্টমেন্ট কর্মকর্তা মনিরুল মোস্তফার সঙ্গে তিন বছরের কয়েক দফায় সাক্ষাৎ করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বীর উত্তম অডিটরিয়ামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে এমন অভিযোগ করেন রিপন বড়ুয়া। তার অভিযোগ শুনে দু’দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
এ সময় গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা চট্টগ্রামের মনছুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এনায়েত উল্লাহ বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
রিপনের মতো একই ধরনের সমস্যা নিয়ে গণশুনানিতে হাজির হন বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর এলাকার সৈয়দ আলী। পাসপোর্ট করার সময় তার বয়স ছিল ২২ থেকে ২৩ বছর।
২০১৩ সালের জাতীয় পরিচয়পত্র করান তিনি। বর্তমানে পাসপোর্টের সঙ্গে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে কিছু তথ্যগত ভুল দেখা যায়। পরে তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি পাসপোর্ট করতে যান চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ পাসপোর্ট অফিস। সেখানে যথানিয়মে টাকা জমা করেও দীর্ঘদিন ধরে অফিসের দপ্তর ঘুরেও মেলেনি পাসপোর্ট।
দুদকের গণশুনানিতে পাসপোর্টের মায়ের নাম সংশোধন করতে গিয়ে বিড়ম্বনার কথা জানান সৈয়দ আলী। এ বিষয়ে অভিযোগ করতে বুধবার শুনানিতে উপস্থিত হন সৈয়দ আলী। তার এ বিষয়টি দু’দিনের মধ্যে সমাধান করতে নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।