নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১,২০,০০,০০০ (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
বিজিবি’র বিএসবি এর ব্যুরো সদরের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, গত বৃহস্পতিবার ১ সেপ্টেম্বর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ২.৫ কিঃ মিঃ উত্তরে নয়াপাড়া এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদককারবারী মায়ানমার হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদকদ্রব্য সাবরাং এলাকার সেলিমের ঝরা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি এবং সাবরাং বিওপি হতে অপর একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সাড়ে ১০ টায় বিজিবি টহলদল সাবরাং এলাকার বর্ণিত চিহ্নিত মাদককারবারী মোঃ সৈয়দ হোসাইন (২৬), পিতা-মৃত আব্দুস শুক্কুর, গ্রাম-সাবরাং নয়াপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার-কে নয়াপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধের উপর থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উক্ত আসামীর দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ এর পিছনের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ীর পিছনে লাকড়ির খোপের ভিতর হতে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীর নিকট হতে ১টি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মোবাইল ফোনের আনুমানিক সিজারমূল্য ১,২০,০০,৫০০ (এক কোটি বিশ লক্ষ পাঁচশত) টাকা।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অবৈধভাবে মাদক বহন ও পাচারের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
