কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ আরো রোহিঙ্গা নিলে বাংলাদেশকে বাড়তি মানবিক সাহায্যের প্রস্তাব পশ্চিমাদের। গত মঙ্গলবার সীমান্ত পরিস্থিতি অবহিত করার জন্য বাংলাদেশে কর্মরত প্রায় ৩০টি দেশের কূটনীতিকদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডাকা হয়েছিল।
পশ্চিমা দেশের এক কূটনীতিক বলেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের জেরে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে মানবিক সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হলে বাংলাদেশ তা নেবে কি না?
এ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানানো হয়, নতুন করে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোনো সুযোগ দেবে না।
এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে নতুন করে কোনো মানবিক সহায়তা নেবে না।
এরপর ওই কূটনীতিক প্রস্তাব দেন, বাংলাদেশ বান্দরবান থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব করেন পশ্চিমা ওই দেশের শীর্ষ কূটনীতিক।
এমন প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক লোকজনকে বান্দরবানের মিয়ানমারসংলগ্ন সীমান্ত থেকে সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
খুব সীমিত সংখ্যক লোকজনকে স্বল্পতম সময়ের জন্য সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এমন এক পরিস্থিতিতে সরকার দেশের বাইরের কোনো মানবিক সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না।
দুটি দেশের কূটনীতিক জানতে চান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তে শক্তি প্রদর্শনের পথে যাচ্ছে না কেন? কেন বাংলাদেশ শুধু কূটনীতির পথেই সমাধান খুঁজছে?
এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, প্রতিবেশী তো বটেই, কারও সঙ্গেই কোনোরকম বৈরিতায় যাওয়ার নীতি বাংলাদেশ অনুসরণ করে না। তাই শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার পথেই বাংলাদেশ সংকট নিরসনের জন্য কূটনীতিতে ভরসা রাখছে। শেষ পর্যন্ত কূটনীতি ব্যর্থ হলে অন্য বিকল্পের কথা ভাবা যাবে।
তখন ওই দুই কূটনীতিকের একজন বলেন, বাংলাদেশ যখন কূটনৈতিক উদ্যোগ পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার পর বিকল্প পথে যাওয়ার কথা ভাববে, সময় তখন বাংলাদেশের অনুকূলে থাকবে কি না?
তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যার পথ খুঁজবে।
