সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বামীর নির্যাতনে সীমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন পলাতক রয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মুদিদোকানদার জুয়েল রানার স্ত্রী। নিহতের পরিবার ও স্হানীয় সূত্র জানায়, ডোয়াইল গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে জুয়েল রানার সঙ্গে তার ভাবি রেখা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেম চলে আসছিল।
এ নিয়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর উপজেলারএকই ইউনিয়নেন চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারকে জুয়েল রানা বিয়ে করেন।
এ বিয়ের পরও ভাবির সঙ্গে জুয়েলের পরকীয়া চলতে থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল।এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে বেধড়ক মারধর করেন।
এতে সীমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে লাশ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। পথে কেন্দুয়া বাজার এলাকায় নিহতের পরিবার লাশ দেখতে চাইলে জুয়েল আপত্তি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে।
এবিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
