ডিএনসি’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যলয় কর্তৃক বিপুল পরিমাণ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন উদ্ধার সহ ২ জন গ্রেফতার

Uncategorized আইন ও আদালত



নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ময়মনসিংহ কর্তৃক ময়মনসিংহ শহরের র‍্যালির মোড় ইসলামবাগচর বেড়িবাঁধ ও কালীবাড়ী বাইলেন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডলযুক্ত ভারতীয় Tapal ও Tydol ট্যাবলেট এবং ডায়াজিপামযুক্ত ইজিয়াম ইনজেকশনসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ময়মনসিংহ এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারীর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ময়মনসিংহ এর সহকারী পরিচালক মোঃ কাওসারুল হাসান রনি এর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ শহরের র্যালির মোড় ইসলামবাগচর বেড়িবাঁধ ও কালীবাড়ী বাইলেন এলাকায় গতকাল শনিবার ১২ নভেম্বর দুপুর ১ টা থেকে ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৬), পিতাঃ মৃত আব্দুল জব্বার, মাতা-মোছাঃ সালেমা খাতুন, সাং-মাঝিয়াল, থানা-দূর্গাপুর, জেলা-নেত্রকোণাকে ট্যাপেন্টাডল যুক্ত ভারতীয় Tapal নামক ট্যাবলেট ১৯০০ (এক হাজার নয়শত) পিস এবং গৌতম ভৌমিক (৩৮), পিতাঃ গোবিন্দ ভৌমিক, মাতা-অঞ্জু ভৌমিক, সাং-২৯, কালীবাড়ী বাইলেন (বেবী সরকারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-কোতোয়ালী মডেল, জেলা-ময়মনসিংহকে তার নিজ বাসা থেকে ট্যাপেন্টাডলযুক্ত ভারতীয় Tapal ও Tydol ট্যাবলেট ১৩,৫০০ (তের হাজার পাঁচশত) পিস এবং ডায়াজিপামযুক্ত ইজিয়াম ইনজেকশন ১৭,৭০০ (সতের হাজার সাতশত) এ্যাম্পুলসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামীরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উপরোক্ত মাদকগুলো সংগ্রহ করে পাইকারী এবং খুচরাভাবে বিক্রয় করে।

আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো বেশ কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, যেগুলো বিশ্লেষণ করে এই নেটওয়ার্কের অন্যদেরকেও পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, ময়মনসিংহ কর্তৃক ভবিষ্যতেও এ ধরণের অভিযান
অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *