আত্নহনন ও কিছু কথা

Uncategorized অন্যান্য


মোঃ নাজমুল হাসান বসিরঃ একাকীত্বের সমাধান কি আত্মহনন? ভালোবেসেই মানুষ ভালোবাসার প্রাণ কে হত্যা করে। অথচ এই গর্হিত কাজটি সংঘটিত হওয়ার কারন ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না।
জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয় হচ্ছে নিঃসঙ্গতা।জীবনে প্রতিটা মুহূর্তকে যারা রঙিন করে রাঙাতে পারে তারাই পায় প্রকৃত সুখের দেখা।আসুন অযথা কথা না বাড়িয়ে বরং ক্যালকুলেট করি রঙিন জীবন কি করে সবাই উপভোগ করতে পারি।

জীবনের শৈবব ছিল রঙিন, বিবাহিত জীবনের শুরুটা ছিল রঙিন, তবে প্রৌঢ় বয়সে এসে সব থাকতেও কেন নিঃসঙ্গতায় ভূগেন পুরুষ?এর উত্তরে নানা মতের সমাহার থাকলেও, কারন কিন্তু একটাই।আজকাল বেশীর ভাগ স্ত্রী সংসার আর বাচ্চাদের দিকে এত বেশি ঝুকে পড়ছেন যে, স্বামীর সময় পাওনার হিসেবের ঘর একেবারে ফাঁকা করে রাখছে।একজন পুরুষ তাঁর রক্ত পানি করে রোজগারের সবটুকুই সংসারে ঢালে।সে তো নিজের জন্য কিছুই করে না।সব টুকু এই সংসারের পিছনেই খরচা করে।
তবে কেন এই পুরুষের অবসর প্রাপ্ত বয়সে তাকে একা করে আমাদেরকে সমাজের এক শ্রেনীর স্ত্রীগন সাবালক ছেলে মেয়েদের জড়িয়ে ধরে মাতৃত্বের মাত্রাকে বাড়িয়ে তুলছে তা আমার বোধগম্য হয় না! একজনের সময় আরেকজনের পিছনে কেন অপচয় করা হয় সেই প্রশ্নটা নানা মনে ঘুরপাক খেয়ে চলছে।
এ যুগে উচ্চবিত্ত,মধ্যেবিত্ত পরিবারের স্ত্রীগুলো
ভাঙনের খেলায় মেতেছে।সন্তান তাদের কাছে সর্বোচ্চে।
জন্মদাতা, যোগানদার মানুষটা অবহেলিত হয় স্ত্রীর কাছে আগে,অবশেষে সন্তানের কাছে।শেষ পরিনতি বৃদ্ধাশ্রমে, অথবা একাকীত্বের ভয়াল গ্রাসে ধুঁকে ধুঁকে মরণ।আত্মহননের পথ না খুঁজলেও আত্ম গ্লানিবোধটুকু তার শেষ সম্বল হয়।কিছু কষ্ট আছে, তার থেকে দেশান্তরী হয়েও নিস্তার নেই।সমাজ ব্যবস্থা ক্রমেই একক নিয়মের নীতিমালায় ভাসছে।শহরে জীবন একটা সময় বন্ধুহীন,আত্মীয়হীন করে ফেলে।পুরুষ যোগানদার, আর ভোক্তা স্ত্রী ও সন্তান। পুরুষ টা এক সময় অবহেলিত হয়ে উঠে।তখন, সে হয় বৃদ্ধাশ্রমে, নইলে নীরবে নিভৃতে কাঁদে।এমনকি এক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়!

ধার্মিকরা বলেন কেউ একাকী নয়।প্রতিটি মানুষের সাথে আল্লাহ আছেন।কিন্ত তারা ভেবে দেখে না একটি বারের জন্য, ধর্মীয় তত্ত্বের নিগুঢ় রহস্য আর জীবনের সরল পথটি এক নয়।কেউ একবারে ও ভাবেন না আপনার চেয়ে আপন কে খুঁজে তার সাথে প্রেমালাপে জীবন কাটানোই শান্তির বারতা বয়ে আনে।

তাই বলি কি আমাদের ভুল আমাদেরকে ভাঙতে হবে,গড়তে হবে সুবিস্তীর্ণ ভালোবাসার দিগন্ত। এখানে ছোট,বড়,যুবক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা সবাই রবে প্রেমানন্দে, ভালোবাসায় জড়িয়ে। সুন্দর হবে পৃথিবী। সাজবে সমাজ সবুজে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *