স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে ৮৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা পৌছাবেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্জ

Uncategorized অন্যান্য




নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঢাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে কাঠমান্ডু থেকে বাইসাইকেলে চড়ে ৮৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকার পথে এক অভিযাত্রা শুরু করেছেন নেপালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্জ।

শুক্রবার দুপুরে হিলির স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন বলে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর এ আলম জানান। ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছর ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী এই কূটনৈতিককে তিনি ফুল দিয়ে শুভেচছা জনান।

হাকিমপর উপজেলা অফিসার নুর এ আলম গণমাধ্যমে বলেন, সেখান থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে থমাস প্রিন্জ বগুড়ায় যান এবং পাঁচতারকা হোটেল মম ইনে রাতযাপন করেন। ঢাকায় অবস্থানরত স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ১০ ডিসেম্বর তিনি যাত্রা করেন।
বাইসাইকেলের এই অভিযাত্রা নিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর এক টুইটে প্রিন্জ লিখেছেন, ‘আমি বাইকে চড়ে কাঠমান্ডু থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পথে বেরিয়েছি। এই সফরে আমি ৮৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ক্রিসমাসের আগে ঢাকা পৌঁছাব।’
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তিনি বগুড়া শহরতলীর পাঁচ তারকা হোটেল মমইনে উঠেন। রাত কাটিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নেপালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আবার ঢাকার পথে রওনা করেন।

মম ইনের ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এক বিদেশি নাগরিক বাইসাইকেল নিয়ে আসেন। তিনি কূটনৈতিক পরিচয় দেননি। শনিবার সকাল ৮ টার দিকে নাস্তা করে চলে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন তাঁর খোঁজখবর করার পর তার পরিচয় জানা যায়।

ড. থমাস প্রিন্জ ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় জার্মানি রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ওই সময় তিনি এক বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে করেন। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা এবং সাইকেল ভ্রমন করার জন্যই তিনি ব্যক্তিগত বাইসাইকেল যোগে ভ্রমনে বের হন।ঢাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে কাঠমান্ডু থেকে বাইসাইকেলে চড়ে ৮৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকার পথে এক অভিযাত্রা শুরু করেছেন নেপালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্জ
ঢাকায় স্ত্রীর সঙ্গে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে কাঠমান্ডু থেকে বাইসাইকেলে চড়ে ৮৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকার পথে এক অভিযাত্রা শুরু করেছেন নেপালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্জ।
হাকিমপুরের ইউএনও বলেন, ‘রাস্ট্রদূতের পরিচয় পেয়ে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি (রাস্ট্রদূত) জানিয়েছেন, ঢাকায় স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ছুটি কাটিয়ে ১০ জানুয়ানি তিনি নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হবেন।’

এই যাত্রা নিয়ে নিজের টুইটে সর্বশেষ যে পোস্ট তিনি করেন, তাতে লেখেন, ‘কয়েক দিনের যাত্রার পর আমি পশ্চিমবঙ্গের ঢালখোলায় পৌঁছেছি। নেপালের পর্বতমালা ছাড়ার পর প্রতিদিন ১১০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছি। সকালে আবহাওয়া ছিল ঠান্ডা ও কুয়াশাচ্ছন্ন। আমার প্রধান খাবার ছিল মসলা চা, কলা ও দোসা।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *