চট্টগ্রামের মাদক ব্যাবসায়ী মুক্তার বিরুদ্ধে ২ সাংবাদিককে হত্যার হুমকিরঃ থানায় জিডি

Uncategorized অপরাধ



চট্টগ্রাম প্রতিনিধি ঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আরেফিন নগর এলাকার আলোচিত একটি নাম মাদক ব্যাবসায়ী মুক্তা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলী, প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যাবসা করার বিষয়ে আলী সহ পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ ও তথ্য সংগ্রহের জের ধরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দুই সাংবাদিক।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার রিপোর্টার মো. জুবায়ের এবং অপরাধ বিষয়ক পত্রিকা অপরাধ জগত এর সদর প্রতিবেদক সাহিদুল ইসলাম মাসুম তাদের পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের সময় অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে তারা সাধারণ ডায়েরি (জিডি)তে উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার রিপোর্টার মো. জুবায়ের বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আরেফিন নগর, কেন্দ্রীয় কবরস্থান, হযরতের বাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় মুক্তা বেগম নামক এক মাদক কারবারির তথ্য পেয়ে ছদ্মবেশে ঐ এলাকায় নজর রাখি তথ্য সংগ্রহের জন্য।

এর মধ্য এলাকাবাসীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে মুক্তা বেগম এর অপরাধ কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারি৷ মুক্তা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলী প্রকাশ ইয়াবা আলীসহ তাদের পুরো পরিবার অত্র এলাকার চিহ্নিত ও অনেক পুরাতন মাদক ও অস্ত্র কারবারি হিসেবে সুপরিচিত। তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেও রাজি হয়না। মুখ খুলে ইতিমধ্যে মিথ্যা মামলাসহ হামলার স্বীকার হয়েছেন বেশকিছু ভুক্তভোগীরা।

সাংবাদিক জোবায়ের আরো বলেন, মুক্তা বেগমের মাদক বিক্রির ভিডিওসহ তার অপরাধের ফিরিস্তি তুলে ধরি সংবাদপত্রে তবুও তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোন উল্লেখ যোগ্য ব্যবস্তা নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে উঠে আসে মুক্তা বেগম অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। ছোট বেলা থেকে তিনি অভাব অনটন থেকে বাঁচার জন্য অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত হয়ে বর্তমানে মাদকদ্রব্য ইয়াবা গাঁজা বিক্রি করে সে ও তার পুরো পরিবার বিলাসী জীবন কাটাচ্ছে। তার খামারে ইতিমধ্যে ২০০ টির ও বেশি গরু রয়েছে। কিভাবে এতো সম্পদ তিনি জুটিয়েছেন তার কোন তথ্য তার পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। টেকনাফ ও সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ও গাঁজা এনে। পারবিন নামক এক মহিলার মাধ্যমে মুক্তা মাদক বিক্রি করান। এছাড়াও মুক্তা বেগমের স্বামী হযরত আলী ওরফে ইয়াবা আলীর বিষয়ে জানাযায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য দেশীয় আগ্নেঅস্ত্র বিক্রি করে থাকে।

ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিক জোবায়ের বলেন, গতকাল শনিবার ২৪ ডিসেম্বর আনুমানিক বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটের সময় আমি আরেফিন নগর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তা বেগমের স্বামী হযরত আলী ওরফে ইয়াবা আলী আমার গতি রোধ করে মারমুখী আচরন করতে থাকে, এসময় তিনি গালমন্দ ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ হত্যা হুমকি দিয়ে আমাকে হুশিয়ার থাকার হুমকি দেয়।
আরেক অভিযোগকারী সাপ্তাহিক অপরাধ জগত পত্রিকার প্রতিবেদক সাহিদুল ইসলাম মাসুম বলেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মুক্তা বেগম ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিসহ বিস্তর অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সাংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সরাসরি বসে কথা বলার কথা বলে আমাকে বায়েজিদ মোড়ে এনে নানান ভাবে উস্কানিমূলক কথা বলেন ও বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে তথ্য দেন।
তবে পরবর্তীতে যাচাই করে জানতে পারি সব গুলোই মিথ্যা তথ্য। সে বিষয়ে তারা সাথে যোগাযোগ করলে মুক্তা বেগম নিজ মুখে স্বীকার করেন তিনি মাদক বিক্রি করেন। এরপর তিনি আমাকে বেশি বাড়াবাড়ি না করার কথা বলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় মুক্তা বেগমের স্বামী হযরত আলীও আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

ফলে আমি নিরু পায় হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার স্মরনাপন্ন হলাম। মুক্তা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলীর বিষয়ে জানাযায়, একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই তারা প্রশাসনের উপর নজরদারি বাড়িয়েছেন৷

ইতিমধ্যে তাদের এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ১০ টিরও বেশি সিটি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। প্রতিবেদকের হাতে আশা কয়েকটি ফুটেজে দেখা যায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছেন তারা।

এলাকাবাসী অভিযোগ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার পরও কিভাবে প্রকাশ্যে মাদক কারবারিরা বহাল তবিয়তে থেকে যুব সমাজ ধ্বংস করছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *