সুগন্ধি সুবাস পেতে প্রেমিক
ছেড়ে ছুঁড়ে চলে যায় যে ভরা যমুনার যৌবনা শরীর,
ছাড়ে কিলোপেট্রা, মোনালিসা, কিংবা ডায়েনার চেয়েও
আরো বেশি সুন্দরী কাউকে—
সে-ও ফেরে ঘর বছর শতেক পরে মনের টানে।
কুঁচকে যাওয়া ইঁদুরের পায়ের ছাপের মতো
নাক, চোখ, মুখ শরীরের সমস্ত ভাঁজের কাছে।
যেখানে নেই আর কোনো লাবণ্যতা
সেখানেও ফেরে প্রেমিক
ঘোচায় গহীন গোপন অজানা দুরত্ব
ধরে মন রাখার বায়না।
আজন্ম তৃষ্ণা নিয়ে তাকায় সেও তার কুঁচকে যাওয়া চোখে,
সেও চায় পুড়ে যাওয়া সলতের জীবনে ফিরতে একবার,
আঁকে প্রেমের চিত্রকল্প মন পাড়ার ঘরে।
দহনের রাত কুঁড়ে কুঁড়ে খায়, খায় বোধের দেয়াল,
বিরহের মেঘের দল ক্ষয়ে ক্ষয়ে হাহাকার হয়ে উড়ে
বুকের শূন্যতায়।
ফেরার জন্যে তার-ও মনজুড়ে হয় আচানক ঘুর্ণিঝড়
পরে প্রেমের সুতোর টান।
শরীরে থাকেনা অনুভবের খেয়াল
মনকেই কাছে টানে সে আবার।
জলের মতো শব্দের নিখুঁত বুননে অনুভবের নির্যাশ
শব্দে শব্দেই চিনে নেয়
ফেলে যাওয়া মনের অভ্যেস।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে খুলে দেয় বদ্ধ দুয়ার
ডুবসাঁতারে ভাসে দুর্দান্ত অনুভবের ঢেউ
তোলে আলোড়ন, হয় অমোঘ গভীর প্রনয়।
মন যমুনায় হয় জলের তোলপাড়!
এ যেনো ফিরে পাওয়া ঠিক
ষোড়শী মনের যৌবন তার।