হাজার টাকা নয়, এক টাকার ডাক্তার রাজশাহীর সুমাইয়া!

Uncategorized অন্যান্য



রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ হাজার টাকা নয়, বরং ১ টাকার ভিজিটে রোগী দেখছেন ডাক্তার রাজশাহীর চিকিৎসক সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল। এটাকে ডাক্তারদের ভিজিট দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে বড় প্রতিবাদী ডাক্তার বলা যেতে পারে। বাবার ইচ্ছা পূরণে জনসেবামূলক এ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

সুমাইয়ার চেম্বার রাজশাহীর সাহেব বাজার মনিচত্বরে একটি ওষুধের দোকানে। প্রাথমিকভাবে দোকান ঘরেই তিনি প্রতি শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা তার এমন চিন্তাধারা নিয়ে ব্যাপক খুশি। তারা জানিয়েছেন, যেখানে হাজার টাকার বেশি ভিজিট দিয়ে সেবা পাওয়া দুষ্কর, সেখানে মাত্র ১ টাকা নিয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা দেন মীর মোজাম্মেল আলীর মেয়ে সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল। রোগীরা বলেন, ডাক্তার সুমাইয়া খুব দারুণ একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। অনেক সময় বেশি টাকা দিয়েও ডাক্তারের কাছে সেভাবে সেবা পাওয়া যায় না।

কিন্তু তিনি মাত্র এক টাকা দিয়ে অনেক সময় নিয়ে বেশ ভালোভাবেই সেবা দেয়ার চেষ্টা করেন। চিকিৎসকদের কাছে আমরা অনেক সময় ভালো ব্যবহার পাই না। কিন্তু সুমাইয়ার সেবা ও ব্যবহার দুটোই খুব ভালো।

আমার বাবা ‘এক টাকার চিকিৎসা’র লিফলেট ছাপিয়ে এনেছিলেন। সেটিকে আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। এর পর থেকেই চেম্বারে রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে। আমার বাবার জনসেবার স্বপ্ন ছিল। তিনি নিজেও কিছু করার চেষ্টা করেন। ডাক্তার সুমাইয়া
২০১৫ সালে রাজশাহীর নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল।

বড় চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাননি তিনি। পরে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে। সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্নও শেষ করেছেন তিনি। রাজশাহীর প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চাকরির পাশাপাশি বিসিএস’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এর পাশাপাশি করছেন জনসেবা।

ডাক্তার সুমাইয়া বলেন, আমার বাবা ‘এক টাকার চিকিৎসা’র লিফলেট ছাপিয়ে এনেছিলেন। সেটিকে আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। এর পর থেকেই চেম্বারে রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে। আমার বাবার জনসেবার স্বপ্ন ছিল। তিনি নিজেও কিছু করার চেষ্টা করেন।
ইচ্ছে ছিল আমার চার ছেলে-মেয়েই ডাক্তার হবে। তিন মেয়ে ডাক্তার হয়েছে, আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, তারা মানুষের সেবা করবে।

যেহেতু আমরা ডাক্তার হতে পারিনি, তাই ছেলে-মেয়েদের মধ্য দিয়েই স্বপ্নটা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।

সুমাইয়ার বাবা মীর মোজাম্মেল আলী তিনি আরও বলেন, আমার বড় বোন ডেন্টিস্ট, মেজ বোনও ডাক্তার, এক ভাই প্রকৌশলী। আমাদের ইচ্ছে ছিল বাবার দোকানেই আমরা তিন বোন মিলে এ সেবা চালু করবো। তবে দুই বোন গর্ভবতী থাকায় তারা এখন বসতে পারছেন না। আমি শুরু করেছি।

সুমাইয়ার বাবা মীর মোজাম্মেল আলী বলেন, ইচ্ছে ছিল আমার চার ছেলে-মেয়েই ডাক্তার হবে। তিন মেয়ে ডাক্তার হয়েছে, আরেকজন ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, তারা মানুষের সেবা করবে। যেহেতু আমরা ডাক্তার হতে পারিনি, তাই ছেলে-মেয়েদের মধ্য দিয়েই স্বপ্নটা পূরণ করার চেষ্টা করেছি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *