নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরউল্লাহ কাজল এর সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান নেতৃত্বে রমনা সার্কেল এর সমন্বয়ে গঠিত টিম বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা পশ্চিম থানধীন উত্তরা এলাকা হতে ৩৫ কেজি গাঁজা সহ ৩ (তিন) মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেণ।
গ্রেফতারকৃতরা মাদক ব্যাবসায়ীরা যথাক্রমে,
মোঃ ইলিয়াছ মিয়া (৩৫) ডিলার,সুজন আবেদীন (৩৭) এবং সরবরাহকারী মোঃ আঃ শুক্কুর (৩৪) সহকারী হিসেবে কাজ করে আসছিল।
উল্লেখ্য চক্রটি দীর্ঘ্ সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট তথ্য আসে। তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করছিল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি মনিটর করে আসছিল।
সর্বশেষ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে তথ্য আসে যে চক্রটি সিলেটের হবিগঞ্জ হতে আগত গাঁজার বড় একটি চালান ঢাকায় ডেলিভারী করবে।
উক্ত তথ্যানুযায়ী অধিদপ্তরের রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম তাদেরকে মনিটরিং করতে থাকে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন শেষে বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে উত্তরা পশ্চিম থানধীন উত্তরা এলাকা হতে ৩৫ কেজি গাঁজা সহ ৩ (তিন) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া হতে গাঁজা সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিলো।
ব্যবসার কৌশল সম্পর্কে
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মোঃ ইলিয়াছ মিয়া (৩৫) মূল হোতা।
তারা অভিনব কৌশলে হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া হতে গাঁজার বড় চালান এনে ঢাকায় তাদের নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
এরা হবিগঞ্জ ও ব্রহ্মণবাড়ীয়া থেকে মাদক ঢাকায় আনার ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জনকে ব্যবহার করে। ব্যবসার নিরাপত্তার স্বার্থে তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নানন কৌশলে ডেলিভারীর মাধ্যমে বর্ণিত ব্যবসা পরিচালনা করতো।
আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে আমরা অধিকতর অনুসন্ধান পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া।
মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।
