মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়ার জরপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আলিম শেখ এর স্ত্রী শেফালী বেগম ওরফে আন্না (৪৫) কে গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। (৬ ফেব্রয়ারী) সোমবার সকাল ১১ টার সময় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বজনদের ধারণা নিহতের নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার জন্য দূর্বৃত্ত’রা এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়,লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গৃহবধূ শেফালী বেগম তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা খানমকে রাতের খাবার দেওয়ার জন্য,জা পারুল বেগমকে সাথে নিয়ে গত রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাশ্ববর্তী মাদ্রাসা খাদিজাতুল কোবরা কওমী মাদ্রাসায় যায়। নিহত শেফালী খানমের স্বামী আলিম শেখ জাহাজে কর্মরত এবং বর্তমান আলিম শেখ জাহাজ নিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন। শেফালী বেগমের ভার্সিটিতে পড়ুয়া একমাত্র ছেলে বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার জন্য ঢাকাতে লেখাপড়া করছেন।
শেফালী ও তার জা পারুল বেগম মেয়েকে রাতের খাবার দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার কেয়ে যার যার মত ঘুমিয়ে পড়ে। সোমবার সকালে শেফালী ঘুম থেকে না ওঠায় স্বজনদের সন্দেহ হয় এবং এক পর্যায়ে জা পাররুল বেগম ঘরের পেছনের দরজার ছিটকানি বন্ধ দেখতে পেয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শেফালীর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পাই। এসময় লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে সাথে সাথে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা বঠি ও সোনার গহনার ৫টি বক্স জব্দ করে। নিহত শেফালী বেগমের দেবর আবেদ শেখ (৫০) কান্নাজনীত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন,টাকা ও সোনার জন্য আমার ভাবীকে খুন করা হয়েছে,আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই।লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে,হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
