পিংকি জাহানারা : সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতাবা দানিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি, বেলা সাড়ে ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে খুলনা রিপোটার্স ইউনিটির সাংবাদিকবৃন্দ।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় এ মামলার বিরুদ্ধে তীব নিন্দা জানিয়ে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক প্রবীর মিত্র জানান, ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের একটি ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ভিসি ড.কলিমুল্লাহবিরোধী শিক্ষক -কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের ৭ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষকের বিস্তারিত নম্বরপত্র ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই ২০১৭ সালের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টার এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ ব্যাপারে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিলেও এই অভিযোগ করার অপরাধে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল হক। এরপর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শামিম ইসলাম ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষ,, দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারলেও তাকে প্রোমোটেড দেখানো হয়।
এই ফলাফলের যাচাইকারী ছিলেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল হক। এই খবর প্রকাশের পর ২০২২ সালে ২১ সেপ্টেম্বর রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৫(১)(ক)/২৯ ধারায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকার মানহানির অভিযোগ তুলে সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতাবা দানিশ ও রংপুর ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে।
ঠিকানা যাচাইয়ের কথা বলে সময় সংবাদ এর হেড অব নিউজ মুজতবা দানিশ এর কর্মস্থল সময় টেলিভিশনে যায় শাহবাগ থানার পুলিশ। চাহিদামত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র দেয়া হয় পুলিশকে। এর কিছুদিন না যেতেই মুজতাবা দানিশ এর স্ত্রীর ইস্কাটনের সচিব ভবনে হাজির হন রমনা থানার আরেকজন। প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে তিনিও চলে যান। এরইমধ্যে মুজতাবা দানিশের স্ত্রী হাতিরঝিলে বাসায় উঠলে সব শেষ মঙ্গলবার সেখানেও হাজির হন হাতিরঝিল থানার এএসআই মাহবুব। যার আচরণ ছিল একেবারে অপেশাদার সুলভ।
এক, দুই, তিন নয়,সময় টেলিভিশনের হেড অব নিউজ মুজতাবা দানিশের খোজে ৫ থানার পুলিশ। সময় টিভির বার্তা প্রধানের দাবি হয়রানির জন্য একই বিষয়ে একাধিক থানার পুলিশের এমন কর্মকাণ্ড। অনিয়মের সংবাদ প্রচারের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় পুলিশের লাগাতার হয়রানির শিকার হচ্ছেন সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতাবা দানিশ।
