বিদেশ ভ্রমণে ( ভারত) অর্থ কড়ি ব্যবহার ও ব্যবস্থা কিভাবে করবেন?

Uncategorized আন্তর্জাতিক



মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী ঃ আপনি একা বা একাধিক হলে যা করনীয়, জেনে নিন, সফর সংগী উদাহরণ স্বরুপ ৪ জন তাহলে ৪ জনের পাসপোর্ট এ পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার এনডোর্স করিয়ে নিন। আপনি বসে বসে একটা সম্ভাব্য খরচ বানিয়ে নিন। আপনার ধারণা ৫০০ ডলারে ভ্রমণ হয়ে যাবে তাহলে প্রতি পাসপোর্ট-এ ৫০০ ডলার গুন ৪ মানে ২০০০ ডলার এনডোর্স করে নিন। এখানে জানিয়ে দেই একজন যাত্রী বিদেশ ভ্রমণের জন্য বছরে ১২,০০০ মা:ডলার এনডোর্স বা ক্রয় করতে পারবেন।

ডলার আপনি তফসিল ব্যাংক থেকে বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করতে পারবেন। আবার কার্ব মার্কেট থেকে বা সোজা কথা খোলা বাজার থেকে ক্রয় করতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান থেকে এনডোর্স করে নিতে হবে। ( তবে খোলা বাজার থেকে ক্রয় বিষয় আইনানুগ নয়) তবে মনে রাখবেন সব ক্ষেত্রে ডলার ক্রয়ের রশিদ নিয়ে নেবেন ও প্রমাণ স্বরুপ সাথে রাখবেন।

ডলারের পাশাপাশি ১০,০০০ টাকা বাংলাদেশী মুদ্রা সাথে রাখতে পারেন। উদাহরণ স্বরুপ ৪ জন যাত্রী ৪ গুন ১০০০০ মানে ৪০,০০০ টাকা বাংলাদেশী মুদ্রা সাথে রাখতে পারেন, আর ভারতের সকল বড় শহরে বাংলাদেশী মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে ফলে বাংলাদেশী মুদ্রা সেখানে একচেঞ্জ করে নিবেন।

টাকা, ডলার নিজের কাছে সুরক্ষিত করে রাখবেন। যেমন আপনি প্যান্টের ভেতর গোপন পকেটে বা মহিলা হলে পায়জামার ভেতরে গোপন পকেটে (চেইনযুক্ত হতে পারে) এমন ভাবে রাখবেন যাতে হারিয়ে বা পকেটমার হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। আপনি মাজার বেল্টের মধ্যে সুরক্ষিত করে রাখতে পারেন।

টাকা, ডলার সব একজনের কাছে না রেখে ২/৩ জনের কাছে কয়েক ভাগে রাখতে পারেন যাতে একজনেরটা হারিয়ে বা মিসিং বা অন্য কিছু হয়ে গেলে অন্যের কাছে রাখা অর্থ দিয়ে সমস্যা সমাধান করে ফিরে আসতে পারেন।

অপর দিকে বিদেশে অর্থ কড়ি নষ্ট করবেন না, খুব হিসেব করে চলবেন কারণ অর্থ কড়ি নষ্ট করে ফেলে সমস্যার মধ্যে পড়বেন কেউ আপনাকে সাহায্যে এগিয়ে আসবেনা। তাই বিদেশ ভ্রমণে অর্থ সব সময় হিসেব করে খরচ করবেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *