জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সিলেট
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নোটারি পাবলিকের হলফনামার মাধ্যমে এক গৃহবধূকে তালাক প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের মৃত আব্দুশ শহীদের মেয়ে রওশনা বেগম।
উক্ত ভূয়া তালাকের হলফনামার কারনে তিনি প্রতারনার শিকার।
রোশনা জানান, ২০১১সালের ১৯ জুলাই ইসলামিয়া শরীয়া মোতাবেক উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কচুর কান্দি গ্রামের মৃত ছৈদ উল্লার পুত্র আব্দুর রশিদের সাথে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিনমূলে বিবাহ হয়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
আমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি আমার পিতার বাড়ি থেকে প্রায় ৫বছর পূর্বে ৮লক্ষ টাকা এনে আমার স্বামী আব্দুর রশিদকে প্রবাসে পাঠাই।
আমার স্বামী প্রবাসে যাওয়ার পর তার বোন সাজনা বেগম, চাচাতোভাই আবুল কালাম, খালাতো ভাই দুলাল মিয়া, চাচাতো ভাইয়ের ছেলে হোসেন আহমদ এক জোট হয়ে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও হয়রানী করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার স্বামীর স্বাক্ষর জাল করে উল্লেখিত ব্যাক্তিগন নোটারী পাবলিক সুনামগঞ্জ স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক সংক্রান্ত হলফনামা আমার নিকট চলতি বছরের ১৪ মার্চ ডাকযোগে আমার পিতার বাড়ীর ঠিকানায় প্রেরন করা হয়।
হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে আমার স্বামী নোটারী পাবলিকের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে নিজ নাম স্বাক্ষর করেছেন। যেহেতু তিনি অদ্যবদি পর্যন্ত দেশে আসেননি সেহেতু কিভাবে নোটারী পাবলিকের সম্মূখে নিজ নাম স্বাক্ষর করলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।
উক্ত তালাকের হলফনামা পাওয়ার পর আমার বড়ভাই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জগন্নাথপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সুহেল আহমদ সহ আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে উক্ত তালাকের হলফনামা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিরপুর ইউপি সদস্য মুজাম্মিল খান এর সম্মুখে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন উক্ত তালাকের হলফনামা সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান।
তখন আমার ভাই আমাকে আমার স্বামীর বাড়ী থেকে আমার বাবার বাড়ীতে নিয়ে আসেন। তালাকের হলফনামা পাওয়ার পর এবং আমার সন্তান ছাড়া বাবার বাড়ীতে থাকায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আমার স্বামী প্রবাসে থাকা অস্থায় কিভাবে উক্ত তালাকের হলফনামা প্রস্তুত করে আমার নিকট প্রেরন করা হয়েছে তা তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছি।