নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে ১.১৩২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি সুতার জাল এবং ১টি কাঠের নৌকাসহ একজন মাদক পাচারকারী আটক হয়েছে, এ খবর নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস।
তিনি জানান, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ৩ মে, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে একজন আসামীসহ ১.১৩২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩,০০০ (তিন হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ কেজি সুতার জাল এবং ১টি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ৩ মে, রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ হতে আনুমানিক ৯০০ গজ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মেম্বারঘাট এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল তাৎক্ষনিকভাবে উল্লেখিত এলাকায় গিয়ে বেড়ীবাঁধের পাড়ে আড়িপেতে গোপনে কৌশলে অবস্থান করে। টহলদল আনুমানিক রাত ২ টা ২৫ মিনিটের সময় দুইজন ব্যক্তিকে একটি কাঠের নৌকাযোগে মায়ানমার থেকে জিরো পয়েন্ট পার করে করে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফ নদীর কিনারায় আসতে দেখে নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করে।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় আরোহিরা নৌকা ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল মোঃ রিফাত প্রকাশ বিলা (২১), পিতা-মোঃ সামছুল আলম, গ্রাম-ফুলের ডেইল, পোস্ট-রঙ্গিখালী, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার নামের একজন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
অপরজন রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে নাফ নদীতে লাফিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল নৌকাটি তল্লাশী করে নৌকার পাটাতনের নীচে মাছ ধরার জালের ভিতরে লুকায়িত অবস্থায় ১টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ১.১৩২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৩,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনের জন্য ব্যবহৃত নৌকাটিসহ ২০ কেজি সুতার জাল জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, আটককৃত ব্যক্তিকে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস, ইয়াবা ট্যাবলেট, সুতার জাল এবং নৌকাসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এবিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) এর অধিনায়ক
লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস, জানান মাদক দ্রব্য সব সম্ভবনা কে অসম্ভব করে দেয়, বিশেষ করে দেশের যুব সমাজ মাদকের ভয়াল ছোবলের শিকার হচ্ছে নষ্ট হচ্ছে তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ। যুব সমাজ কে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করেতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন বদ্ধপরিকর। দেশের সিমান্ত এলাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদকের সঙ্গে কোন প্রকার আপোষ করা হবে না ভবিষ্যতে ও এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।