নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার ভিআইপি রাজস্ব পরিদর্শক খ্যাত দুর্নীতি’র শিরোমণি হারুন উর রশিদ রানা আন্ডার বিলিং মিটার টেম্পারিং ও অবধৈ পানির চোরাই লাইন সংযোগ প্রদানে সহযোগতিার মাধ্যমে সরকাররে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজে সম্পদরে পাহাড় গড়ে তুলছেনে বলে এক অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে তিনটি বাড়ি তাছাড়া, ঢাকায় একাধকি প্লট ও ফ্লাট ক্রয় করছেনে। রয়ছেে প্রাইভটে কারও। ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানাস্থ মাখন গ্রামে রাজকীয় প্রাসাদ গড়ে তুলছেনে তিনি। এছাড়া তার গ্রামরে বাড়তিে প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ গড়ে তুলছেনে অবৈধ পন্থায়। তবে চতুর রানা সম্পদ নিজের নামে না করে স্ত্রী ও পরবিাররে সদস্যদরে নামে করছেনে।
সর্বসাকুল্যে ৩৫ হাজার টাকা বেতনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর বিত্ত বৈভবের মালিক হওয়ায় গ্রামবাসী ও ওয়াসার কর্মকর্তা কর্মচারীরা রিতীমত অবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত ও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে দায়মুক্তি দিয়েছে বলেও দাবি করনে হারুন উর রশিদ রানা।
দুদক দায়মুক্তি দেয়ায় তারা আরো বিস্মত। তাদরে প্রশ্ন ৩৫ হাজার টাকা বেতনের কর্মচারীর ঢাকায় একটা দুটো নয় তিনটি বাড়ি করলো কিভাবে কোথায় পেলেন তিনি তিনটি বাড়ি করার টাকা, তার হাতে কি আলাদিনের চেরাগের যাদু আছে? না থাকলে দুদক তদন্ত করে হারুন উর রশিদ রানার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ খুঁজে পেল না কেন এটাই সবার কাছে বড়ো ধরনের প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।নিম্নবিত্ত পরবিাররে সস্তান হারুন উর রশিদ রানার হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের বিষয় টা বাকা চোখে দেখছে তার নিজের গ্রামের লোকজন। তারা বলাবলি করছেন হারুন উর রশিদ রানার এই হঠাৎ ধনকুবের বনে যাওয়ায় গ্রামবাসী ও ঢাকা ওয়াসার কর্মচারীদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন ও ঢাকা ওয়াসার শুদ্ধি অভিযান কমিটিতে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কিন্ত রহস্যজনক কারনে হারুন উর রশিদ রানার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না । নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাখন গ্রামরে একজন অধিবাসী সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক কে জানান , রানা এলাকাতে দম্ভ করে বলনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোন লাভ হবে না ।তিনি তার অবৈধ অর্থ দিয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে ম্যানেজ করে নিবেন। তার এহেন দম্ভক্তি তে এলাকাবাসী রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করছেন।
রাজস্ব পরিদর্শক হারুন অর রশদি রানা র্বতমানে ঢাকা ওয়াসার ৩ নম্বর রাজস্ব জোনে কর্মরত রয়েছেন। জোনের ডিসিআরও ইব্রাহিম খলিলের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় দুর্নীতিতে হারুন উর রশিদ রানা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে । র্পূবে যে সকল জোনে দায়িত্বে ছিলেন সেখানেও নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি’র সাথে জড়িত ছিলেন এই হারুন উর রশিদ রানা।
ঢাকা ওয়াসার পিপিআই প্রকল্পের অন্যতম অবৈধ সুবিধাভোগী পরিদর্শক রানা। অবৈধ বিত্তশালী এই রাজস্ব পরিদর্শক নিজে কোন প্রকার ডিউটি করনে না। ব্যাক্তিগত নিজস্ব নিয়োগকৃত সহকারী মো: জাকির সহ একাধিক বহিরাগতদের দিয়ে কাজের সাইট পরচিালনা করান। অথচ বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করানো সর্ম্পূণ অনৈতিক ও বেআইনি ।
গত ৫ জুলাই ২০১৮ তারিখে ঢাকা ওয়াসা এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বহিরাগতদের নিয়োগ বাতিল করে, উক্ত অফিস আদেশের স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ ।তার নিজস্ব সহকারীর বেতন ২৫ হাজার টাকা ও তার ড্রাইভারের বেতন ২৫ হাজার টাকা। অথচ তার নিজের বেতন ৩৫ হাজার টাকা। ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক হারুন অর রশদি রানা’র জ্ঞাত আয় বহর্ভিূত সম্পদ ও অন্যান্য অনয়িম দুর্নীতি’র পুনরায় তদন্ত র্পূবক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন ও ঢাকা ওয়াসার শুদ্ধি অভিযান কমিটির প্রতি আহবান জানান ঢাকা ওয়াসার সাধারন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক হারুন উর রশিদ রানার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি আজকের দেশ ডটকম কে জানান, তার বিরুদ্ধে দুইবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে ও কিছু ই পায়নি তার দুর্নীতি’র বিষয়ে কিছুই প্রমাণ করতে না পেরে তাকে সকল প্রকার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তার নিজের বেতন ৩৫ হাজার টাকা অথচ তার ড্রাইভারের বেতন দিচ্ছেন ২৫ হাজার টাকা এবং তার নিজস্ব নিয়োগকৃত সহকারী কে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিচ্ছেন কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এসব কথা মিথ্যা। তাছাড়া তিনি একটু ব্যাস্ততম সময় পার করছেন এসকল বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।