!! বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের মাদক বিরোধী অব্যাহত সাড়াশি অভিযানে ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, আর এই মাদক বিরোধী সাড়াশি অভিযান পরিচালনার কৃতিত্ব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে: কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, বিজিবি, এমএস এর। তার সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকনাফ ব্যাটালিয়নের সিমান্ত এলাকায় সব চোরাচালান বিরোধী অভিযান বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছে, ফলে আটক হচ্ছে রেকর্ড পরিমান চোরাচালান ও মাদকের বিশাল চালান !!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযানিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার ২২ মে, সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র একটি টহলদল দায়িত্বপূর্ণ চৌধুরীপাড়া নামক এলাকায় নাফ নদী সীমান্তে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এসময় বিজিবি টহলদল একজন ব্যক্তিকে সাঁতরে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে এবং তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করে।
উক্ত ব্যক্তি দূর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই লোকালয়ের মধ্য দিয়ে দৌঁড়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ব্যক্তির ফেলে যাওয়া একটি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে তার ভেতর হতে ৪০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে।
পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীকে সনাক্ত করার জন্য টেকনাফ ( ২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক
লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস, জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন বদ্ধপরিকর, ভবিষ্যতে ও এধরণের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।