মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরীঃ গতকাল শুক্রবার ২ জুন গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বর্নি দক্ষিণ পাড়া গ্রামে কতিপয় যুবকের হামলায় শান্ত শরীফ (২০) নামে এক যুবক মারাত্মক আহত হয়েছে । শান্ত শরীফ উক্ত গ্রামের মমিনুর শরীফের ছেলে।
আহত শান্ত শরীফ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। গতকালই আহতের মাতা রুমা আক্তার (৪০)এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গতকাল শুক্রবার ২ মে সকাল ১০ টার সময় তার ছেলে শান্ত শরীফ নিজেদের বিল্ডিং নির্মানের জন্য মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্য নগদ ৫০০০০ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী কালভার্টের নিকট পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ঐ গ্রামের আলীম মুন্সি(২২) পিতা মিন্টু মুন্সি, রেজাউল মুন্সি গেদু (২০)পিতা আক্কাস মুন্সি, রায়হান মুন্সি(১৮) পিতা জোবেদ আলী মুন্সি, বায়েজিদ শেখ (১৯) পিতা নজরুল শেখ, শান্ত শরীফের পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র রামদা লাঠি হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করে নগদ ৫০০০০ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ-সময় শান্ত শরীফের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।স্থানীয় লোকজন আহত শান্ত শরীফকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সদর হাসপাতালে গিয়ে শান্ত শরীফের গলায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্নসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলা ফুলা জখম দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় উল্লিখিত হামলাকারীরা খুবই দূর্ধর্ষ প্রকৃতির লোক। প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার লোকজন জানান রাস্তায় হঠাৎ তারা শান্ত শরীফের উপর উক্ত হামলাকারীদের মারপিট করতে দেখেন।পরে তারা জানতে পারেন শান্ত শরীফ ভালো পোশাক পরে আসায় হামলাকারীরা তাকে কটাক্ষ করায় কথা কাটাকাটি হয় এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।
এলাকার লোকজন আরও জানায় আহত শান্ত শরীফরা খুবই নম্র ভদ্র প্রকৃতির। পক্ষান্তরে হামলাকারীরা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ।
টুঙ্গিপাড়া থানায় সূত্রে জানা যায় তারা একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অত্র এলাকার ইউনিয়ন সদস্য সামাদ মুন্সি জানান আমার বিষয়টি অবগত আছি এবং আমরা মিটমাটের চিন্তা করছি।আসামি আলিম মুন্সির বাবা মিন্টু মুন্সি আমাদের সামনে হুমকি দিয়ে বলেন আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হলে আমিও বসে থাকবো না।
আমি আহতকে হাসপাতালে দেখে এসেছি এবং মিটমাটের প্রস্তাব দিয়েছি। এলাকার সাধারণ মানুষ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।