তাছলিমা আক্তার রায়পুরা (নরসিংদী) : নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের চরমধুয়া গ্রীণ এগ্রো ফার্মে সর্ম্পূণ প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্য ও মান সম্মত ১২৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, এ খামার কোন ধরনের রাসায়নিক ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ঔষুধ প্রয়োগ ছাড়াই সর্ম্পূণ দেশীয় পদ্ধতিতে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে গরু লালন পালন করে গ্রীণ এগ্রো ফার্মের সুনাম খ্যাতি অর্জন করছে।
আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো খামারীরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য সম্মত গরু ,মহিষ মোটাতাজা করছেন। শেষ মূহূর্তে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার খামারীরা।
কোন ধরনের রাসায়নিক ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ঔষুধ প্রয়োগ ছাড়াই সর্ম্পূণ দেশীয় পদ্ধতিতে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। তাই এবার কোরবানীর হাটকে ঘিরে বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
খামারগুলোতে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ১ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে বিদেশী গরু আমদানি না হলে এবছর পশু ববিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন খামার মালিকরা।
কোরবানির ঈদকে ঘিরে অসাধু গরু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করলেও এখানকার খামার গুলোতে দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে এসব গরু ও মহিষ গুলোকে। দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণ করায় এই অঞ্চলের গরু ও মহিষরে চাহিদাও অনেক বেশি। এসব গরু ও মহিষ আশেপাশের উপজেলা সহ বিভিন্ন হাটগুলোতে সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন খামারীরা।
সরজেমনি ঘুরে জানা যায়, অসাধু গরু ব্যবসায়িরা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করলেও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের গ্রীণ এগ্রো ফার্মে। প্রতি বছরই ঈদ এলে গরু বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন এই খামারীরা। ছোট বড় খামাররে পাশাপাশি প্রতিটি খামারি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করে থাকেন।
নিষিদ্ধ ক্ষতিকর ইনজেকশন ও ট্যাবলটে পরিহার করে ঘাস খড়ের পাশাপাশি খৈল, গুড়া, ভূষি খাদ্য হিসেবে খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটাতাজা করা হয়েছে এসব গরু। বাজারে দেশীয় স্বাস্থ্যসম্মত গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই ঈদে লাভজনক হবেন বলে আশাবাদী ।
রায়পুরার চরাঞ্চলের চরমধুয়া গ্রামে গ্রীণ এগ্রো র্ফামস এর মালিক আহসান সিকদার বলেন, কোন ধরনের রাসায়নিক ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর ঔষুধ প্রয়োগ ছাড়াই সর্ম্পূণ দেশীয় পদ্ধতিতে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে গরু লালন পালন করা হচ্ছে। আমার খামারে ১২৫টি গরু ও১২-১৫ টি মহিষ কোরবানি জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গরু সর্ম্পূণ দেশীয় পদ্ধতিতে দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে।
প্রত্যেকটি গরুকে কাঁচা ঘাস,খড়,তিলের খৈল,ছোলার খলৈ, মসুুরী ডালের খৈল, মটরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে। সর্ম্পূণ প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত এসব গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। দেশীয় গরুর চাহিদা থাকায় এরমধ্যে প্রতিদিন খামার পরিদর্শনে আসছেন ক্রেতারা।
এ খামার থেকে গরু ক্রয় করতে কোরবানী দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও বিভিন্ন গরুর পাইকার ও কোরবানি ওলারা চরমধুয়া গ্রীন এগ্রো ফার্মে থেকে গরু ক্রয় করতে অনেক লোকেরা আসা-যাওয়া করছে। গরু সংগ্রহ ও মানুষকে স্বাস্থ্যসম্মত গরু প্রদানের জন্যই আমার এ উদ্যোগ।
দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজকরণ করা গরুগুলোর মধ্যে প্রায় অর্ধেক খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এ র্ফামের
গরুর বাজারেও অনেক চাহিদা রয়েছে।তবে এবার ঈদে বিদেশী গরু র্সম্পূণরূপে আমদানী বন্ধ করা হলে দেশীয় খামারীরা এবার ঈদে লাভবান হবে ।
এছাড়া এবছর ভাল বিক্রি হলে আগামীতে গরু খামারের মাঝারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তরা আরো খামার তৈরী করতে আগ্রহী হবে।