কক্সবাজারের উখিয়া -টেকনাফ থেকে সাবানের কার্টনে অভিনব কৌশলে ইয়াবা ও গাজা পাচারকালে রাজধানীতে ৩ মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

ইয়াবা ও গাজা সহ গ্রেফতারকৃত ৩ মাদক ব্যাবসায়ী।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  : সাবানের প্যাকেটে অভিনব কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট ডেলিভারি করতে গিয়ে  ১২০০০ (বার হাজার) পিস ইয়াবা এবং ৬ কেজি গাঁজাসহ কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো: (দক্ষিণ) কার্যালয়ের কর্মকর্তারা , এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় কর্তৃক রাজধানী ঢাকায় পাচারকারী কক্সবাজারের ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অভিযান অব্যাহত আছে। কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুদ হোসেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সর্বশেষ জুন-জুলাই মাসে ৪২,১১২ (বিয়াল্লিশ হাজার একশত বার) পিস ইয়াবাসহ ৬৬ জনকে আটক করা হয়।

সাবানের কার্টনে অভিনব কৌশলে আনা মাদক।

এরই ধারাবাহিকতায় সূত্রাপুর সার্কেলের পরিদর্শক দেওয়ান মো: জিল্লুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি টীম শনিবার ৮ জুলাই  গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ি এবং গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালায়।

এ সময় সাবানের কার্টনের ভিতরে সাবানের প্যাকেটে ইয়াবা পাচারকালে যাত্রাবাড়ি থানা এলাকা থেকে ১২০০০ (বার হাজার) পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজারের উখিয়াভিত্তিক মাদক পাচারকারী মোঃ খোরশেদ আলম জিসান ও মোঃ জিয়াউল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই টিম গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ নুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

গ্রেফতারকৃত   আসামীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, .মোঃ খোরশেদ আলম জিসান (৩২), পিতা- নুরুল আলম, ঠিকানাঃ রুহুল্লার জেবা, রত্নাপালং ৭নং ওয়ার্ড, উখিয়া, কক্সবাজার।মোঃ জিয়াউল হক (৪৫) পিতা-মৃত নাজিম উদ্দিন, ঠিকানাঃ রুহুল্লার জেবা, রত্নাপালং ৭নং ওয়ার্ড, উখিয়া, কক্সবাজার এবং নুরুল আলম (৪০), পিতা-মৃত হাজী সিদ্দিক, ঠিকানাঃ নোয়াপাড়া, হোয়াইকং ৭নং ওয়ার্ড, টেকনাফ, কক্সবাজার।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে যা জানা গেছে, গ্রেফতাকৃত মোঃ খোরশেদ আলম জিসান ও মোঃ জিয়াউল হক পেশাদার মাদক পাচারকারী। মোঃ খোরশেদ আলম জিসান আবুল খায়ের গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার এবং মোঃ জিয়াউল হক তার সহযোগী হিসেবে সাবানসহ বিভিন্ন পণ্যের কার্টনে ইয়াবা পাচারকাজে যুক্ত। সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে পণ্য সরবরাহের আড়ালে ইয়াবা পাচার করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার কাজে যুক্ত ছিল।

আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা ছিল কিনা প্রাথমিকভাবে তা যাচাই করা না গেলেও, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলমান আছে।

অপর আসামী নুরুল আলম কুমিল্লা থেকে গাঁজা নিয়ে ঢাকার সাভারে যাচ্ছিল বলে জানায়। সে একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং সাভার এলাকায় নিজেই গাঁজা খুচরা বিক্রয় করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি এবং গেন্ডারিয়া থানায় পৃথক পৃথক মামল রুজু করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *