ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার উন্নয়নের রুপকার সালাউদ্দিন মুক্তি।

নিজস্ব প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকা (বিজয়ের দিনে) ঐতিহ্যের শহর মুক্তাগাছার প্রাণকেন্দ্র সারদা কিশোর রোড পয়ারকান্দি এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মুক্তাগাছা উন্নয়নের জীবন্ত কিংবদন্তি সালাহউদ্দিন মুক্তি।

পিতা সিরাজ উদ্দিন আহমেদ (মুক্তিযোদ্ধা) ছিলেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানির একজন ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তাগাছা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। নবারুণ সংসদের হাত ধরে মুক্তাগাছার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবারুণ বিদ্যানিকেতনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
মুক্তাগাছার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত। মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ সহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে রেখেছেন অনন্য অবদান।
সালাহউদ্দিন মুক্তি ১৯৯১ সালে নবারণ বিদ্যানিকেতন থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের এইচএসসি ৯১/৯২ শিক্ষাবর্ষে।
সেখান থেকেই ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তার উত্থান শুরু, জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন সংগ্রামী ছাত্র সমাজের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি পদে থেকে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে মুক্তাগাছা উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম আহবায়ক এবং কেন্দ্রীয় জাতীয় ছাত্র সমাজের সম্পাদক মন্ডলীর পদ লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে সালাহউদ্দিন মুক্তি মুক্তাগাছায় উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির একটি বিশাল সম্মেলনের মাধ্যমে মুক্তাগাছার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
সালাহউদ্দিন মুক্তি মুক্তাগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে সাংগঠনিক পদ লাভ করেন।
অষ্টম জাতীয় সম্মেলনে সালাউদ্দিন মুক্তি জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এর পদে অধিষ্ঠিত হন। এবং নবম জাতীয় সম্মেলনের পর জাতীয় পার্টি প্রমোশন দিয়ে তাকে ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির বর্তমান সদস্য সচিব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক মামলায় বহুবার জেল খেটেছেন। সায়দাবাদ ও পান্থপথে জাতীয় পার্টির সমাবেশে রাবার বুলেটের দাগ শরীর থেকে এখনো মুছে যায়নি।
সালাহউদ্দিন মুক্তি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ ময়মনসিংহ – ৫ ( মুক্তাগাছা) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বিগত পাঁচ বছর ঐতিহ্যের শহর মুক্তাগাছা কে আলোকিত করতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন।
শিক্ষা সেক্টরে মুক্তাগাছায় ৬০ টির ও বেশি স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় একতলা থেকে বহুতল ভবন (চারতলা) নির্মাণ করেছেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নত করেছেন। তাহার সময়ই মুক্তাগাছা কে শতভাগ বিদ্যুৎতাইতো উপজেলা ঘোষণা সহ নতুন নতুন সাব স্টেশন নির্মাণ হয়েছে।
মুক্তাগাছার দুল্লা,ঘোগা, ও দাওগাও ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহমান বানার নদীর উপর একাধিক ব্রিজ এবং বড়গ্রাম ইউনিয়নের কেযাইকান্দা ব্রিজ ও সুইজগেট সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নদী ও খালের উপর অসংখ্য ছোট বড় ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ।
ময়মনসিংহ টাঙ্গাইল মহাসড়ক পুনঃনির্মাণ। ময়মনসিংহ জামালপুর রাস্তা পুনঃনির্মাণ। মুক্তাগাছা ফুলবাড়িয়া রাস্তা পুনঃনির্মাণ। মুক্তাগাছা পিয়ারপুর রাস্তা পুনঃনির্মাণ। মুক্তাগাছা বেগুনবাড়ি রাস্তা পুনঃনিন্মাণ।
মুক্তাগাছা বিদ্যাগঞ্জ রাস্তা পুনঃনির্মান। শত্রাসিয়া গারাইকুটি রাস্তা পুনঃনির্মাণ। মুক্তাগাছা দাপুনিয়া রাস্তা পুননির্মাণ। রসুলপুর চন্দনি আটা রাস্তা পুনঃনির্মাণ।
চেচুয়া কালিবাড়ি বটতলা রাস্তা পুনঃনির্মাণ এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মুক্তাগাছা নতুন বাজার হইতে বিডিবাড়ি গরবাজাইল নবীনগজ্ঞ হয়ে মোহাম্মদ নগর পর্যন্ত নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ।
মুক্তাগাছা খামার বাজার বকচর বাগমারা বাজার নতুন রাস্তা নির্মাণ। মনতলা ব্রিজ খোকশিয়া শশমালা হয়ে দাপুনিয়া নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ সহ ১শত কিলোমিটারের বেশি ইউনিয়ন ও গ্রামীণ নুতন পাকা রাস্তা নির্মাণ।
১০০০ মেট্রিক টনের নতুন খাদ্য গুদাম, পশু হাসপাতালের নতুন ভবন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন, মুক্তাগাছা রাজবাড়ি সংস্কার, মুক্তাগাছা থানার ভিতরের দরবার হল, গোল ঘর, প্রাচীর ও গেইট নির্মাণ। এসিল্যান্ড অফিস সংস্কার সহ সরকারি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অসংখ্য অফিস সংস্কার করেন।
মুক্তাগাছা শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরী গরতে মুক্তাগাছা পৌরসভার অনুকূলে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। মুক্তাগাছার মিনি স্টেডিয়াম সালাহউদ্দিন মুক্তির সময়ের প্রস্তাবিত প্রকল্প।
আলোকিত মুক্তাগাছা বিনির্মাণে সালাউদ্দিন মুক্তি ৫ বছরে ১৫ শত কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন মুক্তাগাছায় করেছেন।থেমে যাওয়া উন্নয়ন পুনরায় চালু করতে সর্বস্তরের মানুষ মনে করে মুক্তাগাছা কে আলোকিত করতে আগামী সংসদে আমাদের সন্তান মুক্তি কেই দরকার।