নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম বলেছেন, পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
তিনি গতকাল রোববার ২৪ সেপ্টেম্বর, সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন ও মামলা তদন্ত এবং সার্বিক কার্যক্রম সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মামলা তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, ফলে তদন্তের মান বাড়ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৯৫ ভাগ মামলার রহস্য উদঘাটিত হচ্ছে। তিনি বহুল আলোচিত সাগিরা মোর্শেদ, নুসরাত জাহান রাফি ইত্যাদি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইর সাফল্যের প্রশংসা করেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, পিবিআই দক্ষতা, যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের প্রাপ্যতা অর্জন করেছে। তারা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে মামলা তদন্ত করছে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে উঁচু মান বজায় রেখে জনগণের কাছে পিবিআই যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে, আগামীতে তা অব্যাহত রাখতে হবে।
সভার শুরুতে পিবিআই প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম মামলা তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বহুল আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটনের কথা উল্লেখ করেন, যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
এছাড়া, পিবিআই প্রধান আদালতে দায়েরকৃত সিআর মামলা তদন্তে সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি শিশু হত্যার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ কামরুল আহসান বিপিএম (বার) বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পিবিআইর ডিআইজি (পূর্বাঞ্চল) মোর্শেদুল আনোয়ার খান।
এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক বিপিএম, ডিআইজি (প্রশাসন) মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিবিআইর ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) মিরাজ উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯৭০ জনবল নিয়ে ২০১২ সালে পিবিআই যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে পিবিআই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ২ হাজার ৩১ জন জনবল নিয়ে দেশব্যাপী খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, প্রতারণা, মানব পাচারহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ তদন্ত করছে পিবিআই।