গোপালগঞ্জের পাটগাতি-বাঁশবাড়িয়া সড়কে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী  :  গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি থেকে বাঁশবাড়িয়া পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে চরম অনিয়ম ও নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ঐ সড়কের লেবুতলা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সাথে গাইড ওয়ালে প্রচুর পরিমাণে ভাঙ্গাচোরা ইট বসানো হচ্ছে। ওই সড়ক নির্মানে অত্যন্ত। ইতোমধ্যেই সড়ক নির্মান কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। সড়ক নির্মান কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনসের কর্মকর্তা শ্রেণির কাউকে সড়ক নির্মান এলাকায় পাওয়া যায়নি। সেখানে কোনো প্রকৌশলীকেও পাওয়া যায়নি। তবে এলজিইডির দুজন ওয়ার্ক অ্যাসিসট্যান্টকে পাওয়া গেছে । যদিও তারা কোনো তথ্য সরবরাহ করতে পারেননি।


বিজ্ঞাপন

পরে অনিয়ম ও নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহারের বিষয়ে এলজিইডির টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান আমরা  নতুন পদ্ধতিতে কাজ পরিচালনা করছি। আমি প্রথমে ইটের খোয়ার সাথে বালু মিশ্রিত করে পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে বলেছি। যখন পানি মেশানো হয় তখন বালু ও খোয়ার ডাস্ট ভিজে গিয়ে একধরনের বিশেষ ব্যাপার ঘটে। ওইভাবে ভেজানো খোয়া রাস্তায় ফেলে তারপর আবার পানি দিয়ে রোলার দিয়ে মিশিয়ে দেয়া হয়। এ পদ্ধতিতে কাজ ভালো হয়। একুশ কোটি টাকার কিছু বেশি ব্যয় হচ্ছে সড়কটি নির্মাণে বলেও তিনি জানান।


বিজ্ঞাপন

টুঙ্গিপাড়ার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদকে কোনোভাবেই বোঝানো সম্ভব হয় নাই ইটের সাথে সামান্য বালু মিশিয়ে তা আবার পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়ায় বালু ইটের সাথে স্থায়ী হয়নি। এমনটাই দেখা গেছে কাজের সাইটে। এতে অপচয় ছাড়া কোনো লাভ হয়নি। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করায় পানিতে খোয়ার অনেকটাই কাঁদার মতো হয়ে গেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রাস্তা নির্মাণের সার্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। টুঙ্গিপাড়া এলজিইডি সূত্রে জানা যায় কাজটি বরেন্দ্র কনস্ট্রাকশনের নামে হলেও কাজ করছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছলেমান বিশ্বাসের ছোট ভাই মাহমুদ বিশ্বাস।

নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের বিষয়ে মাহামুদ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান কোন নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে না। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্হানীয় জনগন সাইট থেকে মালামালের নমুনা সংগ্রহ করে বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষার দাবি জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *