তাপস চন্দ্র সরকার (কুমিল্লা) : শ্রী শ্রী গিরিধারী সংঘের উদ্যোগে কুমিল্লা নগরীর বজ্রপুরস্থিত শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী বাড়ি গত একুশে ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা হতে যথাক্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যদিয়ে চলছে ২৪ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন।
তদুপলক্ষে প্রথমদিন একুশে ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শ্রী শ্রী কৃষ্ণানন্দ মঠের অধ্যক্ষ শ্রীল শ্রীকৃষ্ণ দাস বাবাজী মহারাজ এর পরিবেশনায় শ্রীমদ্ভাগবতীয় কথা। দ্বিতীয় দিন রবিবার সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, গঙ্গা আবাহন ও র্যালী শেষে চট্টগ্রাম রাউজান হতে আগত অধ্যাপক শ্রী রাজীব বিশ্বাস এর পরিবেশনায় অধিবাস কীর্ত্তন এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ২৩, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সোম, মঙ্গল ও বুধবার অবিরাম হরিনাম যজ্ঞ। এছাড়াও ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রত্যুষে নগর কীর্তন পরিশেষে নাম যজ্ঞের সমাপন এবং মহন্ত বিদায় ও জলকেলি উৎসব।
এতে নামসূধা বিতরণ করবেন সূদুর খুলনা হতে আগত শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ সম্প্রদায়, শ্রী শ্রী ভক্ত শ্রীবাস সম্প্রদায় ও শ্রী শ্রী অদৈত সম্প্রদায়, সাতক্ষীরা শ্রী শ্রী ভবা পাগলা সম্প্রদায়, মাগুরা শ্রী শ্রী শ্যামা সম্প্রদায় এবং কুমিল্লা শ্রী শ্রী গিরিধারী সংঘ।
এদিকে, ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার একাদশী ব্রত উপলক্ষে শ্রী শ্রী গিরিধারী সংঘ ও শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মায়ের দ্বীন ভক্তবৃন্দের যৌথ আয়োজনে সূদুর সুনামগঞ্জ হতে আগত শ্রী রাজীব দে, গাইবান্ধা শ্রী সমির কৃষ্ণ দাস ও যশোর চন্দনা হাওলাদার এর পরিবেশনায় বিশেষ আকর্ষণ “অষ্টকালীন লীলা কীর্তন” এবং ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রত্যুষে নগর কীর্তন পরিশেষে লীলা কীর্তন সমাপন শেষে মহন্ত বিদায় ও একাদশী ব্রতের পারণ প্রসাদ বিতরণ।
ওই অনুষ্ঠানসূচীর প্রতিটি পর্বে সকলের উপস্থিতি, সহযোগিতা ও মনোরম পরিবেশে লীলা কীর্তন উপভোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।