সিত্তুল মুনার বাসায় হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি আত্মগোপনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  সিত্তুল মুনার নিজ ফ্ল্যাটে হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি আত্মগোপনে থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগি ফরিদুল আলমসহ স্থানীয় বাসিন্দা। ফরিদুল আলম কে অপহরণসহ ডজন খানেক মামলার আসামি প্রতারক মোস্তফা সরদার তপন।


বিজ্ঞাপন

সিত্তুল মুনার ডিভোর্সি স্বামী আনোয়ার সেলিমের ফ্ল্যাটে লুকিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে প্রতারক মোস্তফা। একেই ভবনের পাশের ফ্লাটে বসবাসরত ঠিকাদার ফরিদুল আলম এর সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অপহরণ করছিলেন প্রতারক মোস্তফা সরদার এর নের্তৃত্বে একটি চক্র। বিগত এক বছর পার হলেও ওই ভাড়া বাসায় ফরিদুল আলম কে ঢুকতে দিচ্ছে না সিত্তুল মুনার সাংগোপাঙ্গরা। ফরিদুল আলম বাসায় ঢুকতে না পারলেও নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছেন। বাসায় উঠতে চাইলে প্রকাশ্যে এবং ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে অপরাধী চক্রটি।


বিজ্ঞাপন

ফরিদুল আলম আমিনার্স পাল ৬২/৬৩ বড় বাগের ২১ নাম্বার  ফ্ল্যাটে উঠলে আবার অপহরণের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে জানে শেষ করে দেবার হুমকি প্রদান করেছেন সিত্তুল মুনা।


বিজ্ঞাপন

ফরিদুল আলম এর মোবাইল ফোনে খুদেবার্তায় ও ফোনে হুমকির ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী ফরিদুল আলম। মোস্তফা সরদার তপন কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে ফ্ল্যাটে ভয়ে আত্মগোপনে রাখার অভিযোগ এখন তুঙ্গে। তবে একাধিক মামলার আসামি হলেও টনক নড়েনি এ নারীর।

জানা গেছে সিত্তুল মুনা চৌধুরী প্রতারক মোস্তফাকে কখনো ভাই পরিচয় দেন আবার ফিজিওথেরাপিস্ট, আবার বাইক চালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজ ফ্লাটে লুকিয়ে রাখছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে ওই বাসায় আত্মগোপনে থাকছেন। মোস্তফা সরদার তপন প্রতারণা করে ডজন খানেক বিয়ে করে সব নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে ব্ল্যাকমেইলিং টাকা পয়সা লুটিয়ে নিয়ে পথে বসিয়েছেন। সর্বশেষ প্রতারণা করে সে সিতুল মুনা কে জিম্মি করে তার ডিভোর্সি স্বামী আনোয়ার সেলিমের ফ্ল্যাটে আত্মগোপনে রয়েছে এ প্রতারক মোস্তফা।

একটি সূত্র বলছে এ প্রতারককে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বাসায় লুকিয়ে রাখার কারণ খুঁজছেন স্থানীয়রা। ওই ফ্ল্যাটের একাধিক সূত্র বলছে প্রতারক মোস্তফা কে যখন পুলিশ খুঁজতে আসে মুনা বলেন , তিনি এখানে থাকেনা আপনারা অন্যত্র খুঁজে দেখেন।অথচ রাত গভীর হলে চুপে সারে ঢুকে অবস্থান নেয় মুনার কাছে।

এসব বিষয় জানতে সিত্তুল মুনা কে ফোন করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে খুদেবার্তা পাঠালেও কোন সদোত্তর দেননি।

এদিকে ভুক্তভোগী ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে অপহরণ করার পর এক বছর যাবত নিয়মিত বাসা ভাড়া দিয়ে আসছি অথচ ওই বাসায় আমি থাকতে পারছি না। আমাকে নিয়মিত লিখিত প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আসছে বাসায় উঠলে আবারও অপহরণ করে মেরে লাশ গুম করবে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *