মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের শম্ভুডাঙ্গা গ্রামের মো:সাহাদত হোসেন সুজন (৪৫) এর মাদ্রাসায় পড়ুয়া নাবালিকা কন্যা সাইফা আক্তার (১৪) কে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের শিকার কিশোরীর পিতা মো: শাহাদত হোসেন সুজন এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত (৪ জুলাই) মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যায় মেয়ে সাইফা আক্তার প্রতিবেশি রেজা মোল্লার বাড়িতে ঘুরতে যায়। এসময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা পার্শবর্তী চিলগাছা রঘুনাথপুর গ্রামের বহুল আলোচিত মাদক সম্রাট পুলিশের হাতে ক্রস ফায়ারে নিহত ঘোলা মোস্তর ছেলে শাকিল উদ্দিন (১৯) সহ তার আরো দুই বন্ধু মোট তিনজন মাদ্রাসায় পড়ূয়া নাবালীকা সাইফা আক্তারকে মূখ চেপে ধরে অচেতন করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়ের বাবা ও মা গভীর রাত পর্যন্ত মেয়েকে খোঁজা খুঁজি করে না পেয়ে নড়াইল সদর থানায় একটি জিডি অভিযোগ দায়ের করেন। যার জিডি নং-২১২। ঘটনার পরের দিন (৫ জুলাই) বুধবার বিকালে সাইফা অচেতন অবস্থায় বাড়ির পাসের রাস্তার কাছে আসলে রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যাওয়ার সময় ভ্যান চালক রাজিব মোল্যা ও ভ্যানের যাত্রী শিরিনা বেগম ওই কিশোরীকে রাস্তার পাসে দেখতে পাই। এসময়,ওই কিশোরী ভ্যান চালক ও ভ্যানের যাত্রীকে কিশোরীর পিতা সুজন এর নাম্বার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। এসময় ভ্যান চালক ও ভ্যানের যাত্রী কিশোরীর পিতা সুজনকে ফোন করলে পিতা সুজন ও স্থানীয়’রা ওই কিশরীকে অচেতন অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত বহুল আলোচিত মাদক সম্রাট পুলিশের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত ঘোলা মোস্ত’র ছেলে শাকিল উদ্দিন (১৯) কে আটক করে থানা হাজতে পেরণ করে। বর্তমান ওই কিশোরী নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপহরণের শিকার মেয়ে সাইফার বাবা মোঃ শাহাদত হোসেন সুজন ও মা সাংবাদিকদের জানান,আসামী শাকিল উদ্দিন প্রায়ই আমার মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় কু-প্রস্তাব দিতো। আমার মেয়ে আসামীর প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সে বিভিন্ন লোক মারফতে আমার মেয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জোর পূর্বক তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিতো। এমনকী ওভিযুক্ত শাকিলের মাকে দিয়ে আগেও বেশ কয়েক বার আমাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পাঠিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত (৪ জুলাই) মঙ্গলবার আসামী শাকিল তার মায়ের ইন্ধনে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে আমার নাবালীকা মেয়ে সাইফাকে অপহরণ করে। পরে পুলিশের তৎপরায়তায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়া হয়। বর্তমানে আমার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবাইদুর রহমান জানান,জিডি সূত্রে ভিক্টিম সাইফাকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত আসামী শাকিলকে গ্রেফতার করি। আগামী রবিবার ভিক্টিমকে আদালতে নিয়ে ১৬৪-ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হবে। এবং মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।