নিজস্ব প্রতিবেদক : মুঘলদের প্রকৃত খাদ্যাভ্যাস সবার কাছে পরিচিত করানোর লক্ষ্যে ২০২১ এ যাত্রা শুরু করেছিলো আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট। ঐতিহ্যবাহী মুঘল খাবারের আয়োজন নিয়ে ঢাকার একমাত্র কনসেপ্ট রেস্টুরেন্ট এটি। আরও বড় পরিসরে রাজসিক ছোয়ায় নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হলো ৩০০ ফিট সংলগ্ন এই রেস্টুরেন্টটি।
আজ সোমবার (৮ এপ্রিল রাজধানীর ৩০০ ফিট সংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) হল-১ সংলগ্ন নিজস্ব প্রাঙ্গনে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার এম.এম, জসীম উদ্দীন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ট্রেজারার ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর এ চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, আইসিসিবি হেড অফ ডিভিশন একাউন্টস এস, এম, মনিরুল ইসলাম পলাশ সহ আইসিসিবি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে এম.এম, জসীম উদ্দীন বলেন, মুঘল রাজ পরিবারের পোশাক- আশাক ও খাদ্যাভ্যাস যেন এক হিরণ্ময় স্মৃতি। একেকটি রহস্যে ঘেরা গল্প। সেই জৌলুসময় জীবনাচরণের ইতিহাস আজ বিলুপ্তপ্রায়। মুঘলদের খাদ্যাভ্যাস নতুন প্রজন্মকে আমরা জানাতে চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি, তাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করতে। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে ঢাকার মানুষ পরখ করতে পারবেন সেসব অসাধারণ খাবারের আয়োজন এবং উপলব্ধি করতে পারবেন রাজসিক জীবন। ঢাকার বুকে মুঘল ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে এ রেস্টুরেন্ট রয়ে যাবে যুগযুগ। ভোজন রসিকদের অনুরোধে নতুন ভবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এম. এম. জসীম উদ্দীন আরো বলেন, পূর্বেকার ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক গ্রাহককে আমরা একসাথে জায়গা দিতে পারতাম না। এখনকার আয়োজনে বড় গ্রুপকে আমরা সাবলীল ভাবেই বসে খাবার উপভোগের ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। সেই সাথে ৩০০ ফিট এর দৃষ্টিনন্দন লেক এবং সড়ক এর সৌন্দর্য রেস্টুরেন্ট থেকেই উপভোগ করা যাবে।
এস. এম. মনিরুল ইসলাম পলাশ বলেন, আইসিসিবিতে চালু হওয়া হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশের একটি বিশেষ রেস্টুরেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কারণ শুধু মুঘল খাবারের কোনো রেস্টুরেন্ট এখনও বাংলাদেশে হয়নি। পুরো রেস্টুরেন্টটি সাজানো হয়েছে মুঘল ঐতিহ্যকে ধারণ করে। আইসিসিবি হেরিটেজ রেস্টুরেন্ট কেবল উদরপূর্তির মাধ্যম হওয়ার জন্য আসেনি, এসেছে একটি শিল্পকে একটা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে।
অনুষ্ঠানে আগত এক অথিতি বলেন, মুঘলদের রান্নার স্বাদ ও রাজকীয়তার মেলবন্ধন যুগের পর যুগ মানুষের রসনাকে তৃপ্তি দিয়ে আসছে। আজও আমরা সে লোভনীয় খাবারের রসাস্বাদন করি। কিন্তু সত্যিকার সেই স্বাদ আয়োজনের ঘাটতি বর্তমানে লক্ষণীয়। ধন্যবাদ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে এবং আইসিসিবিকে এ রাজসিক পদক্ষেপের জন্য।