কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চোরের বিরুদ্ধে মামলা করায় দোকানিকে হুমকি ; সড়কে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

 

কুমিল্লা  প্রতিনিধি :  কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নে রামনগর মার্কেটের একটি দোকানে চুরি করার সময় হাতেনাতে চোর ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে মামলা করায় দোকানিকে হুমকি প্রতিবাদে ও চোরের বিচারের দাবিতে রামনগর-পূর্বহুড়া সড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।


বিজ্ঞাপন

(২৯ জুন ২০২৪) শনিবার বিকেলে রামনগর -পূর্বহুড়া সড়কে ২শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। রামনগর মান্নান মার্কেটে নূরুন্নবী স্টোরে রাতে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত চোর আরিফুল ইসলাম বাপ্পী, রুবেল ও আশিকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দোকানদার নুরুন্নবী,তোফায়েল মেম্বার,নজরুল ইসলাম মেম্বার,কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ নেতা শাহীন কবির,শাহ আলম,হাজী নূরে আলম খোকন,শেখ শরিফ,মোশাররফ, শ্যামল মাস্টার,মোবারক পুলিশ,মুমিন,গোলাম মোস্তাফা, শাহাজাহান, আব্দুল হামিদ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে ভোক্তভোগী দোকানদার নূরুন্নবী তার বক্তব্য বলেন,রামনগর গত ২০ শে জুন আনুমানিক রাত ৩ টার সময় মান্নান মার্কেটের নূরুন্নবী স্টোর দোকানে চুরি হওয়ার সময় গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে চোরদের ধাওয়া করলে ৩ জন পিক-আপ রেখেই পলিয়ে যায়।

সে সময় এলাকাবাসী সেই পিক-আপ ভ্যান আটক করে এবং পুর্বহুড়া গ্রাম থেকে চোর চক্রের সদস্য পিক-আপ ভ্যানের ড্রাইভারকে ধরতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী।দোকান থেকে নগদ অর্থসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। চোর সদস্যের একজন বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত হাফিজ মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম বাপ্পি।

তখন রামনগর ও ইছাপুরা গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার ও পুলিশকে খবর দিলে সকালে ওয়ার্ড মেম্বারের উপস্থিতিতে চোর সদস্য ড্রাইভার বাপ্পিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় জগৎপুর গ্রামের শামসুল অলম মোল্লার ছেলে (আশিক) ছিলো চোরচক্রের একজন যে কিনা পালিয়ে যায় সে দিন রাতে,তার বাড়ি জগতপুর।

বাপ্পি আরো জানায় চুরির সাথে এলাকার লোকও জড়িত আছে তবে তার নাম বলতে পারছেনা, দেখলে চিনবে বলে জানায় । পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী চোর সদস্যকে নিয়ে সন্দেহ ভাজন একজনকে দেখাতেই চোর নিজ মুখে স্বীকারোক্তি দেয় এই ছেলেটি রুবেল চুরি করতে সাহায্য করেছে।রুবেল রামনগর চরপাড়া গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে।

তাৎক্ষণিক বুড়িচং থানার এসআই মো: নুরুল ইসলাম রুবেল ও বাপ্পি কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। চুরির মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার হওয়ার পর নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে এবং চোরকে বাঁচাতে প্রভাবশালী একটি মহল দিয়ে হুমকি দিচ্ছে চোরচক্রের লোকজন।

দোকার নূরুন্নবী জানায় তার দোকানে এ নিয়ে ৪ বার চুরি হয়েছে এবং মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে বলেন এই এলাকায় কিছু দিন পর পর চুরি হচ্ছে, এতদিন চোর ধরা পড়েনি। কিন্তু এবার চুরির মাস্টারমাইন্ডকে চিনিয়ে দিয়েছে চোর চক্র। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া মাস্টারমাইন্ড রুবেল এর লোকেরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, যেন তাকে অভিযুক্ত করা না হয় এবং অসত্য নিউজ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে চাচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, প্রায় চার বছর আগে নুরু মিয়ার দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ফার্নিচার ব্যবসা করেছেন রুবেল, এক পর্যায়ে ইয়াবা বিক্রী করার সময় দোকান থেকে ধরা পরার কারণে এলাকাবাসী মার্কেট থেকে বিচার সালিশ করে উচ্ছেদ করে দেয়।

পরে রুবেল নুরু মিয়ার দোকান ছেড়ে একটু সামনে এসে আরেকজনের দোকান ভাড়া নেন সে স্থানে গিয়েও মাদক বিক্রি সহ চোরাই মোবাইল বিক্রির করেছে।এ নিয়ে অনেক বিচার সালিশ বসেছে বলে জানায় বক্তারা। মানববন্ধনে চোর সহ চোর চক্রকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানানো হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *