গণপূর্তের বৈষম্য দুর হবে কবে : নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম সিন্ডিকেট ৩৩ প্রকৌশলীর মধ্যে পাওয়ারফুল ইমেজ তৈরি করে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সারাদেশ

!!  প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ  নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম সিন্ডিকেট গণপূর্তের ৩৩ প্রকৌশলীর মধ্যে পাওয়ারফুল ইমেজ তৈরি করে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন !! 


বিজ্ঞাপন
দ্যা পাওয়ারফুল সিন্ডিকেট প্রধান, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও পতিত সরকারের দোসর গণপূর্ত অধিদপ্তরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীন সরকার মদদপুষ্ট ৪ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ভোল পাল্টে নবরূপে নতুন উদ্যমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, গণপূর্তের যে ৩৩ জন প্রকৌশলী ঘুরেফিরে ঢাকায় গেড়ে বসেছেন তাদের গডফাদার হিসেবে কাজ করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো : আতিকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট।


বিজ্ঞাপন

প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার এর রয়েছে একান্ত অনুগত কয়েকজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।বাহ্যিক দৃষ্টিতে পীর হিসেবে পরিচিত প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার। সরাসরি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা চোখে না পড়লেও একটি বিশেষ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।

সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ মেয়াদে এসে এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা না করে চালিয়েছে দুর্নীতি । সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও সচিব পদমর্যাদার নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ে অস্থিরতা তৈরি ও আগুন লাগার ঘটনার প্রেক্ষিতে গণপূর্তের ৩৩ প্রকৌশলীর মধ্যে ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্ট্মেন্টের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ততা আছে কি না সেবিষয়ে খতিয়ে দেখছে রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সমার্থক প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট মিলে এধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।

সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গণপূর্ত ডিভিশন-৬ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমানে ই/এম শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ আছে। জনশ্রুতি রয়েছে যে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের মত আলমগীর খানও যেকোনো সময়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।

অন্যদিকে প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। শ্যালককে দিয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা করান তিনি। তার ওস্তাদ প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। শ্যালকের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ঠিকাদারীতে ব্যবসা করে হয়েছেন কোটিপতি।

এদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির বিশিষ্ট ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিঝিল গনপূর্ত বিভাগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সাইট সিলেকশনের অজুহাত দেখিয়ে শামীম আখতারের অত্যন্ত ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত গনপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র আতিকুল ইসলামকে একটি কমিটি বানিয়ে কাজটি হস্তান্তর করেন।

উক্ত কাজ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগ থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ হস্তান্তরের মূল উদ্দেশ্য কয়েক কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য । এজন্যই মূলত কমিটি করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর ডাটাবেজ তৈরির কাজে সহযোগিতা করছেন আতিকুল ইসলাম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রক্ষনাবেক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমান উৎকোচ গ্রহন করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে ৩ বছরে তিনি প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ বদলী হয়ে চলে যান। এই অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করে সুকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী জানা গেছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ডিভিশনে বদলি–সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি হয়েছে। সেখানেও পাঁচ প্রভাবশালী প্রকৌশলীই চেয়ার পেয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘ সময় ঢাকার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের স্বাক্ষর করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে দেখা যায়, শেরবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানাকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪; ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলামকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নুকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ -১ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও তিনি পুনরায় ঢাকার ফিরে আসতে জোর তদবির চালাচ্ছেন।

এছাড়াও মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমান উল্লাহ সরকারকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-২ এবং পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানকে মহাখালী গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে। তবে আতিকুল ইসলাম যথারীতি শেরেবাংল নগর গনপূর্ত বিভাগ -৩ এ কর্মরত থেকে তার সকল প্রকারের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

গণপূর্তের বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক অসংখ্য দুর্নীতি ও অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে মিস্টার ফিফটি পার্সেন্ট হিসাবে অনেকের কাছেই বহুল পরিচিত তিনি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ায় অধিদপ্তর জুড়ে কাউকে তিনি পরোয়া করেন না। সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বর্তমানে তার সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সায়েক-কে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তিনি তার সমস্ত দুর্নীতির ছায়াসঙ্গী।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগ-১-এ কর্মরত। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্তও তিনি একই পদে ছিলেন। তারও আগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে দুই দফায় দুই উপবিভাগে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারের ২৭তম ব্যাচের এক কর্মকর্তা শিক্ষানবিশকাল বাদে পুরো সময় ঢাকায়ই অবস্থান করছেন।

শাহ আলম ফারুক চৌধুরী ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ৫ বছর ৪ মাস ধরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা ডিভিশন-২-এ নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে একই পদে ছিলেন। এ প্রকৌশলী নগর বিভাগের আওতায় রমনা-১ ও শেরেবাংলা নগরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবেও বহু বছর ছিলেন। সব মিলিয়ে গত ১০ বছর ঢাকা ছাড়তে হয়নি তাঁকে। এমন ৩৩ জন প্রকৌশলীর তথ্য মিলেছে, যাঁরা বছরের পর বছর ঢাকায় কর্মরত। তাঁরা এখন নিজ দপ্তরে ‘ঢাকার প্রকৌশলী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকার দুটি সিভিল জোনের অধীনে ১৮টি বিভাগে এবং ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল একটি জোনে ১৩টি বিভাগ মিলে মোট ৩১টি বিভাগ। এই ৩১টি বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর ৩১ চেয়ারের বিপরীতে প্রতিযোগী ১৬৪ জন। তবে ঢাকার এই গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলো কবজায় রেখেছেন গুটিকয়েক প্রকৌশলী। কর্তৃপক্ষ চাইলেও তাঁদের ঢাকার বাইরে বদলি করতে পারে না। কারণ, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে দায়িত্বে থাকার কারণে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের সখ্য গড়ে ওঠে। ফলে ইচ্ছে করলেই সংস্থাপ্রধান বা মন্ত্রণালয় তাঁদের ঢাকার বাইরে বদলি করতে পারে না। আবার আর্থিক সক্ষমতা বাড়ায় তার সুবাদে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের আশীর্বাদও পান তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার চেয়ারগুলো কবজায় রাখা প্রকৌশলীদের সরাতে এবার নীতিমালা তৈরি করছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তাতে দুই বছর ঢাকায় থাকার পর বাইরে বদলি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার  গণমাধ্যম কে  বলেন, ‘কিছু প্রকৌশলী ঘুরেফিরে ঢাকায় পোস্টিং নিচ্ছেন, তা আমরাও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দেখা গেছে, যে প্রকৌশলী ঢাকার বাইরে আছেন, তাঁরও একবারের জন্য হলেও ঢাকায় আসতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু সেই পরিবর্তনের কাজটি অর্থাৎ যাঁরা ঢাকায় আছেন তাঁদের বদলি করা কঠিন হয়ে যায়। তাই আমরা এমন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছি, যেটি বাস্তবায়ন করলে আর এ বৈষম্য থাকবে না।’

জানা যায়, মো. সাইমুম হোসেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে শেরেবাংলা নগর বিভাগ-২-এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। এর আগে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ঢাকা বিভাগ-১-এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারও আগে ছিলেন ঢাকায় রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে। স্বর্নেন্দু শেখর মণ্ডল বর্তমানে নগর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। এর আগে তিনি গণপূর্ত বিভাগ-৪-এ নির্বাহী প্রকৌশলী ছাড়াও উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে বিভাগ-৪ ও ইডেন বিভাগে ছিলেন। আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ আগে গণপূর্ত বিভাগ-২-এ নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকা-১, রমনা-১ ও মিরপুর বিভাগে ছিলেন। মিরপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নু আগে মহাখালী ও শেরেবাংলা নগর উপবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। মেট্রোপলিটন জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান আগে একই পদে ছিলেন গণপূর্ত বিভাগ-৪, মেডিকেল বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জে। এ ছাড়া তিনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে রমনা-২-এ ছিলেন। রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান (সবুজ) আগে গণপূর্ত সম্পদ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে রমনা-১ ও মহাখালী বিভাগে ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তৈমুর আলম ও আবুল কালামও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় আছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহফুজুল আলম প্রধান প্রকৌশলীর স্টাফ অফিসার হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি একই পদে প্রধান কার্যালয়ের স্বাস্থ্য উইংয়ে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন। প্রভাবশালী এ প্রকৌশলী উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে নগর বিভাগ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।

আহমেদ আব্দুল্লাহ নূর বর্তমানে সংস্থাপন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ইতিপূর্বে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাভার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব আগে মেডিকেল বিভাগে ছিলেন। ৯ বছর ধরে আরবরিকালচার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুদরত এ খুদা। মহাখালী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমানুল্লাহ সরকার একই পদে মিরপুর বিভাগে এবং উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে রমনা-১ বিভাগে ছিলেন। সচিবালয় (ইডেন) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার আগে বিভাগ-৫-এ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা আগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকা উপ-বিভাগ-৬, রমনা-১, শেরেবাংলা নগর-৩-এ ছিলেন। শেরেবাংলা নগর-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন আগে ছিলেন মহাখালী বিভাগ ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) মোহাম্মদপুর বিভাগে। তিনি উত্তরা উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর দায়িত্বেও ছিলেন। নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকল্প-৫) এ এন এম মাজহারুল ইসলাম আগে বিভাগ-৩ ও মেট্রোপলিটন জোনে ছিলেন। এ ছাড়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ছিলেন বিভাগ-৪-এ। জাগৃকের মোহাম্মদপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান আগে ছিলেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে নগর (বঙ্গভবন) বিভাগে। জাগৃকের ঢাকা বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী আগে একই পদে ছিলেন সাভারে। সম্পদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন খান আগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। মেডিকেল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আজমল হক মুন আগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে ঢাকা উপ-বিভাগ-১-এ ছিলেন। বিভাগ-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল ইসলাম আগে একই পদে সাভার বিভাগে ছিলেন। নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন আগে ছিলেন ইডেন ও মহাখালী বিভাগে। বিভাগ-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শায়খ আগে মিরপুর বিভাগে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন।

এ ছাড়া ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল (ইএম) বিভাগে ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী শমিরণ মিস্ত্রি ইএম/৭, পবিত্র কুন্ডু ইএম/৬, আইয়ূব আলী উত্তরা প্রকল্প, আশরাফুল আলম ইএম/ ১, মো. মহিবুল ইসলাম ইএম/৪, আব্দুল হালিম ইএম/৯, শরীফ মাসুম ইএম/১০, জাহাঙ্গীর আলম বিভাগ-২, নিয়াজ তানভীর ইএম/৩।

সচেতন মহলের দাবি এই মুহুর্তে গণপূর্তের উল্লেখিত কর্মকর্তাদের নিয়োগকাল থেকে অদ্য রিপোর্ট লেখা অবধি তাদের উপর অফিসিয়াল অর্পিত দায়িত্ব সমুহের সঠিক তদন্ত অব্যাহত থাকলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রভাবশালী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সদস্যদের মুখোশ উন্মোচন সহ দুর হবে সকল বৈষম্য মূলক কর্মকান্ড।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *