নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্প উৎপাদনে সঠিকতা ও সূক্ষ্মতা নিশ্চিত করা এবং কৃষি, চিকিৎসা, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী অত্যাধুনিক পরিমাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিমাপে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও জাতীয় পরিমাপ নীতিমালা প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তারা।

আজ মঙ্গলবার বিআইএম মিলনায়তনে পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত বিশ্ব পরিমাপ দিবস-২০২৫ (World Metrology Day) উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

“Measurements for all times, for all people” অর্থ্যাৎ ‘সর্বকালেই পরিমাপ সকলের জন্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এনডিসি এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই’র মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএসটিআই’র সাবেক মহাপরিচালক মো: মুয়াজ্জেম হোসাইন, মো: আব্দুস সাত্তারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে এসিআই লিমিটেড, স্কয়ারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এ বছরে বিশ্ব পরিমাপ দিবসে ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩(তিন) জনকে ক্রেস্ট এবং আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বুয়েটের উপউপাচার্য বলেন, কৃষি, শিক্ষা এবং বিদ্যুৎখাতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী ১০ বছরের জন্য সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন। আর এর প্রতিটি ক্ষেত্রে মোট্রোলজির গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশ যেন বিদেশি পণ্যের ডাম্পিং স্টেশনে পরিনত না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। জাতীয় পরিমাপ নীতিমালা প্রণয়নের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূর এনডিসি।
বিএসটিআই’র উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআই’র মানচিহ্ন নকল ও অবৈধ ব্যবহার প্রতিরোধে অনলাইন কিউআর কোড সম্বলিত লাইসেন্স প্রদান, পণ্যের হালাল সনদ প্রদান, স্বর্ণের বিশুদ্ধতা যাচাইপূর্বক সনদ প্রদান শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে বিএসটিআই’র কার্যালয়ের মাধ্যমে সকল সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।