অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর মামলা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) রাতে নিহতের বড় ভাই এস এম রফিকুজ্জামান টুলু বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০–২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এজাহারভুক্ত দুই আসামি—সাগর বিশ্বাস ও ফিরোজ খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

মামলায় যাদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে অভয়নগর ও নওয়াপাড়া পৌর যুবদলের দুই নেতার নাম থাকায় বিএনপির একাংশ সোমবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ মে বিকেলে তরিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী সুমন মোটরসাইকেলে করে ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে যান। সেখানে পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে গেলে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে নেওয়া হয়। এরপর তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
এদিকে যুবদল নেতা মাসুদ পারভেজ সাথী ও আকরাম আকতার কোরায়েশীর নাম এজাহারে আসায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউট মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশ। মিছিলটি অভয়নগর থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘যুবদলের নেতাদের নাম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় দেওয়া হয়েছে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের নাম বাদ না দিলে রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধসহ লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম বলেন, ১১ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছে।