নিজস্ব প্রতিনিধি (মাদারীপুর) : মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘাটমাঝি ইউনিয়ন টুবিয়া বাজার হইতে বাহেরদী কমিউনিটি ক্লিনিক সড়কের সংযোগ নব নির্মিত সেতুর উপরে অবৈধভাবে
দোকান তৈরি করে জনগণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় দোকান অপসারণের কথা বলায় রাতের অন্ধকারে সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খান কে হত্যার উদ্দেশ্য প্রবেশ করে তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর কুপিয়ে তছনছ, লুটপাট,নারী ও শিশুদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে একদল সন্ত্রাসী।
ঘটনার প্রতিবাদ করায় উলটো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেও ব্যার্থ হয়েছে অবৈধ দখলদার ভূমি দস্যু। উপজেলার ঘাটমাঝি ইউনিয়নের উত্তর চিড়াইপাড়া (দশ আনি) গ্রামের মৃত হবি তালুকদারের ছেলে কামরুল তালুকদার এর নেতৃত্বে এসব কর্মকাণ্ড চালানো হয়।
একই উপজেলার ঝাউদী ও ঘাটমাঝি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী টুবিয়া বাজার হইতে বাহেরদী কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদ্রাসা,ঈদগাহ, কবরস্থান, স্কুল সহ গ্রামে প্রবেশের মুখে সরকারি খালের উপর অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা দোকান ঘর তৈরি করে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে আসছিলেন কামরুল তালুকদার ও তার ভাই আতিয়ার তালুকদার।
২০২৫ সালে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় উক্ত খালের উপর একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সেতুর উভয় পাশে দুটি দোকান আংশিক অপসারণের জন্য মাদারীপুর জেলা পরিষদ লিখিত নোটিশ জারি করেও কোন লাভ হয়নি।
এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসংখ্য বার বলা হলেও কোন কর্নপাত না করে উল্টো সেতুটি যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্নভাবে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় সন্ত্রাসী কামরুল তালুকদার।
আশপাশের কয়েকটি গ্রামে এবং সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খান এর বাড়ির প্রবেশ মুখে সেতুটি নির্মাণ কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে তাই তিনি কামরুল তালুকদারকে তার দোকানের আংশিক অংশ অপসারণের জন্য অনুরোধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের উপর চড়াও হয় এবং আমাকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি ধমকি দিতে থাকে বলে সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খান জানান, তিনি আরও বলেন –
একই দিন ( ২৬ রমজান) রাতে সবাই যখন রমজানের পবিত্র তারাবির নামাজে মসজিদে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভে ইবাদতে মশগুল সেই সুযোগে কামরুল তালুকদার তার দলবল ও ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী সহ দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র, রামদা, টেটা, বল্লম,চাইনিজ কুড়াল,রড,ছেনদায় সজ্জিত হয়ে অর্ধ শতাধিক বাহিনী নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে (
আমি মসজিদে নামাজে থাকায় ) আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রী, কন্যাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমার দুই শিশু পুত্র জিম ও রাফিকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট করে নগদ অর্থ, স্বর্নলংকার নিয়ে যাওয়ার সময় ঘরের ভেতর থাকা আসবাবপত্র, টিভি ফ্রিজ ভাংচুর করে এবং আমার বসত ঘরের ভেতর ও বাইরের টিনের বেড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করে যাওয়ার সময় আমার অবর্তমানে পরিবারের সদস্যের হুমকি দিয়ে যায় যাতে আমি অবৈধ সরকারি খালের উপর নির্মিত দোকান ঘর অপসারণের বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করি। সংবাদ প্রকাশ করলে আমি সহ আমার পরিবারের সকলকে হত্যা করা হবে।
নিজের অপকর্ম ঢাকতে পরের দিন সকালে উল্টো কামরুল তালুকদার বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি অভিযোগ করলে তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।
জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর উপরে উঠার স্বাভাবিক জায়গা না রেখেই নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে তবে সেতুটি এখন কামরুল তালুকদারের দোকানের খুঁটি অসাধারণে মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।