নিজস্ব প্রতিনিধি (টেকনাফ) : টেকনাফ পৌরসভাস্থ খানকারপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০,০০০ পিস ইয়াবা, ০১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি এলজি, ১ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১টি গুলির খালি খোসা সহ সৈয়দ নূর (৫০) নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করেছে বিজিবি, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জানা গেছে, বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, একটি অপরাধীচক্র বিরাজমান প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগে জেলের ছদ্মবেশে মায়ানমার হতে সাগরপথে মাদকের একটি চালান পাচার করে এনে টেকনাফ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় লুকিয়ে রেখে মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করছে।

প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট এবং কয়েকটি আভিযানিকদল অপরাধীদের ধরতে মাঠে নামে। জানা যায়, অপরাধীচক্র ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী জনৈক নূরের মধ্যে মাদক লেনদেনের অংশ হিসেবে একটি অটোরিক্সাযোগে গোপনে অবৈধ অস্ত্রসহ মাদকের চালানটি খানকারপাড়ার একটি বাড়িতে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।

মাদক কারবারীদের হাতে-নাতে ধরতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে বিজিবি’র কয়েকটি আভিযানিক টিম টেকনাফ শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযানে নামে।

অপরাধীদের অনুসরণ করতে করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র আভিযানিক একাধিক টিম এক পর্যায়ে টেকনাফ পৌরসভাস্থ খানকারপাড়া এলাকাটি ঘিরে ফেলে।
পরে স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় আনুমানিক দুপুর ১ টার দিকে নিজ বসতবাড়ি থেকে পলায়নরত সৈয়দ নূরকে আটক করা হয়।
তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মাদক সরবরাহকারী মোঃ হারুন অর রশিদ বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকের একটি প্যাকেট নূরের নিকট হস্তান্তর করে এবং অপর একটি মাদক ভর্তি প্যাকেটসহ দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দীর্ঘসময় তল্লাশি চালিয়ে সৈয়দ নূরের বাসার পিছনের ঘরের ছাদে বাঁশের চাটাইয়ের উপরে লুকায়িত স্থান থেকে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি মারনাস্ত্র যথাক্রমে ০১টি ওয়ান শুটার গান ও ০১টি এলজি, ১ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত সৈয়দ নূর টেকনাফ পৌরসভার ০৯ নম্বর ওয়ার্ডের খানকারপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত মাদক, অস্ত্র ও গুলিসহ প্রচলিত আইন অনুযায়ী টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, পলাতক হারুন অর রশিদসহ অপরাধীচক্রের অন্যান্য সদস্যদেরকে ধরতে বিজিবি’র আভিযিনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক নির্মূল এবং সকল অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে বিজিবির এধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।