বিশেষ প্রতিবেদক : একটি দুর্বল সরকারের কারণে পুরো রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি সিস্টেম কলাপস করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে কোথাও সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবকিছু চলছে আল্লাহর নামে। দিন দিন পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে— পরিস্থিতি ততই জটিল ও খারাপ হতে পারে। এই অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিতে হবে।

নিরাপত্তা পরামর্শ:
১. অতি উৎসাহী হয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়বেন না। কোথাও গণ্ডগোল দেখলে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ভিডিও/ছবি নেবেন।

২. আশেপাশে কোনো উঁচু ভবন থাকলে সেটার উপরে উঠে ফুটেজ/ছবি নিতে পারেন।

৩. সবসময় রাস্তার একপাশে থাকবেন। কখনো পুলিশ ও মবসৃষ্টিকারীদের মাঝে অবস্থান করবেন না।
৪. প্রতিদিন ইভেন্ট কাভারে বের হলে সাথে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী রাখবেন।
৫. কখনো একা থাকবেন না। কাভারে গেলে আরও সাংবাদিকদের সাথে মিলে একসাথে থাকবেন। পরিচয় না হলে নিজেরাই পরিচিত হয়ে নেবেন।
৬. প্রেস কার্ড দৃশ্যমান রাখুন, তবে বিপজ্জনক অবস্থায় তা গোপন রাখা উত্তম। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৭. লাইভ করার সময় লোকেশন শেয়ার করবেন না। আগে কন্টেন্ট সংগ্রহ করে নিরাপদ স্থানে গিয়ে পোস্ট করুন।
৮. সেফ এক্সিট প্ল্যান ঠিক রাখুন। যেকোনো অবস্থায় দ্রুত বের হওয়ার জন্য নিকটবর্তী গলি বা নিরাপদ স্থান সম্পর্কে ধারণা রাখুন।
৯. উসকানিমূলক মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে চলুন। কোন পক্ষের সাথে বিতর্কে জড়াবেন না। কেউ ক্ষেপে গেলে প্রয়োজনে সরি বলে কেটে পড়ুন। মনে রাখবেন– আপনি আক্রান্ত হলে কোনো বিচার পাবেন না।
১০. পরিবার ও অফিসে লোকেশন আপডেট দিন। ইমার্জেন্সি কন্ট্রাক ও পরিচিত বা অফিসে লোকেশন শেয়ার করে রাখুন।
১১. প্রয়োজনে দাঙ্গা, ভাঙচুর, মারামারির ফুটেজ জুম ব্যবহার করে দূর থেকে নিন। যতটা সম্ভব ফিজিক্যাল রিস্ক কমান।
১২. প্রাথমিক চিকিৎসার ছোট প্যাকেট সঙ্গে রাখুন। হালকা গ্যাস মাস্ক বা কাপড়ও রাখতে পারেন, টিয়ার গ্যাসের জন্য।
মনে রাখবেন– একটা ভালো ফুটেজ সর্বোচ্চ ১/২ দিন চলবে, মানুষ মনে রাখবে। তবে আপনার শারিরীক ক্ষতি হলে সে ক্ষত সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তাই কখনোই অপ্রোয়জনীয় ঝুঁকি নেবেন না। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে যতটা সম্ভব নিরাপদ দুরত্বে থেকে কাজ করুন।