নিজস্ব প্রতিবেদক : চালু হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু। গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে সরকার। পরে জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
মহাসড়ক উন্নীত হয়েছে চার লেনে কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কের তিন সেতুই দুই লেনের। তাই দেশীয় অর্থনীতির লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
এ পথের যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বর্তমান সরকার ২০১৬ এর জানুয়ারি হাতে নেয় দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণ ও পুরাতন সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প।
গেল মার্চে ২য় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধনের পর এবার খুলে দেয়া হলো দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর দ্বারও। বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে নির্মিত সেতু দুটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত হলো নির্দিষ্ট সময়ের ছয় মাস আগেই। প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পকাজ ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচেই শেষ করেছে জাপানি কোম্পানি। বাকি টাকাও ফেরত দেয়া হয়েছে সরকারকে।
গণভবনে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনের পর তা জনগণের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করেন চার লেনের এসব সেতু ব্যবহার করে এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবেন এ পথের যাত্রীরা।
শেখ হাসিনা বলেন, ঈদের আগে যে কাজগুলো করলাম তা দেশবাসীকে ঈদ উপহার দিলাম। ঈদে নিরাপদে তারা বাড়ি যেতে পারবেন।
সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের রাস্তার সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচে নির্মিত ৭০ কিলোমিটার এ সড়কে একটি ফ্লাইওভার ও ২টি ওভারপাস ছাড়াও থাকছে ১৩ টি আন্ডারপাস। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের কাজও শেষ হলো নির্ধারিত সময়ের ১ বছর আগে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে যে সেতুর উদ্বোধন করছি সেগুলো আমি মনে করি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা বিরাট অবদান রাখবে।
পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবনে আরেকটি অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
স্বস্তির স্বার্থে মেট্রোরেলের সাময়িক ভোগান্তি মেনে নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।