দুই রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধি : মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অ্যানা জেরাদ ফন লিউয়েন এবং থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সুমিতমোর। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করেন নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত।


বিজ্ঞাপন

বঙ্গভবন প্রেস উইং জানায়, নতুন দূতরা বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বাংলাদেশে স্বাগত জানান।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশে সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার উল্লেখ করে এ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রয়াস চালানোর জন্য নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন তিনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। করোনাকালে বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য থাই সরকারকে ধন্যবাদ জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি। তিনি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, সিরামিকস, ওষুধসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে। থাইল্যান্ড এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য আসবে। বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য থাই বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জানান। তারা দায়িত্ব পালনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রাচার প্রধান এম আমানুল হক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।