নড়াইলের শাহাবাদ ইউনিয়নে স্কুল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রবাসীর স্ত্রী’র উপর হামলা

Uncategorized অপরাধ

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইর সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়েনের চরবিলা গ্রামের পলাশ মন্ডলের স্ত্রী রেহেনা বেগমের উপর প্রতিপক্ষ সাবেক সাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্নার স্ত্রী তন্নি বেগম ও তোন্নী বেগমের মহিলা সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন,হামলার শিকার আহত রেহেনা বেগম।আহত ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম জানান,গত (১এপ্লিল) শুক্রবার সাহাবাদ ইউনিয়নের সাহাবাদ উচ্চম্যাধমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচনকে ঘিরে সাবেক চেয়ারম্যান দোলোয়ার হোসেন পান্না আমার বাড়িতে এসে আমার কাছে স্কুল নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বলে ভোট চান ও আমি পান্না ভাইকে ভোট দিব বলে শিকার করি এবং পরে পান্না ভাই এর স্ত্রী তন্নি বেগম আমার বাড়িতে এসে পান্না ভায়ের জন্য ভোট চাই,আমি পান্না ভাইকে ভোট দিতে শিকার হই।(১এপ্লিল) শুক্রবার স্কুল নির্বাচনের দিন আমি ভোট দিতে গেলে আমার স্বামী প্রবাসী পলাশ মন্ডল আমাকে মোবাইল ফোনে ফোন করা অবস্থায় সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী তন্নি বেগম আমাকে অকার্থ ভাষায় গালমন্দ করেন এবং সেই সময় নির্বাচনে ডিউটিরত থাকা পুলিশ সদস্যগণ তন্নি বেগমকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করে,স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন,এবং আমাকে পুলিশ সদস্যগণ ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন,আমি ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় আবারও তন্নি বেগম অকার্থ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।চরবিলা গ্রামের প্রবাসী মো:পলাশ মন্ডলের স্ত্রী রেহেনা বেগম,(২৫),সাংবাদিক মো: রফিকুল ইসলামকে আরো অভিযোগ করে বলেন,গত (২এপ্রিল) সনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় আমার স্বামীর কেনা জমির টাকা পরিষদ করতে সাহাবাদ ইউনিয়নের ধোন্দা গ্রামে আমার বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে চরবিলা গ্রামের মোক্বারম এর বাড়ির সামনে আমি পৌছালে সাবেক চেয়ারম্যান পান্না ও তার স্ত্রী তন্নি মটোরসাইকেল যোগে যাওয়ার সময় আমাকে একা দেখে আক্রশ মেটাতে পান্নার স্ত্রী ও তার ডেকে আনা পান্নার ছোট ভাই এর স্ত্রী মৌসুমি,বিপুলের স্ত্রী নাসরীন,নজরুলের স্ত্রী ফিরোজা বেগম,ও হাবিবুল্লাহ্সহ আরো অনেকে আমাকে মারপিট করে এবং তন্নি বেগম আমার গলা টিপে মেরে ফেলতে চেষ্টা করে।এসময় গুরুতর আহত করে আমার কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে জমি কেনার ২ লক্ষ ৭শত টাকা ও হাতে থাকা এক ভরি ওজনের সর্ণে বালা,গলায় থাকা এক ভরি ওজনের সর্ণের চেইন ও চার আণা ওজনের সর্ণের কানের দুল,সাবেক চেয়ারমম্যানের স্ত্রী তন্নি বেগমসহ তার সহযোগি’রা সিনিয়ে নিয়ে যায়,পরে আমার খালি ভ্যানিটি ব্যাগ রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেয়।এসময় আমার আন্তচিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশি তৌহীদ নামের একজন ও একই গ্রামের লাল্টু মন্ডলের স্ত্রী ময়না বেগম আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।ভুক্তোভোগী আহত রেহেনা বেগমের স্বামী প্রবাসী পলাশ মন্ডল এ প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান,আমি জমি কেনার জন্য আমার স্ত্রীর কাছে বাংলাদেশি টাকার ২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছি,আমার কেনা জমির টাকা পরিষদের জন্য।আমি বাড়িতে না থাকার কারনে পান্না চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে,তার সহযোগিদের নিয়ে প্রতিনিয়তই আমার পরিবারের সাথে ঝামেলে করে বলেও জানান।প্রবাসী পলাশ মন্ডল আরো জানান,আমার স্ত্রী’র উপর হামলার ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় আমার স্বজন’রা মামলা করতে যায় কিন্তু ওসি স্যাহেব আমাদের মামলা নেননি বলেও জানান।এ বিষয়ে সাবেক সাহাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্নার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,পলাশ আমার বংশের ছোট ভাই,পলাশ কে আমার বিরোধী পক্ষের লোক জন মিথ্যা,ভিত্তিহীন,বানোয়াট কথা বলে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে সন্মানহানী করতে চেষ্টা করছে।সাবেক চেয়ারম্যান পান্না আরো জানান,ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার নামে এসব গুজব ছড়াচ্ছে,আমার সন্মান হানি করার জন্য,যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট,দুজনের মধ্যে শুধু একটু তর্ক হয়েছে মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনার বিষয়ে সাহাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন,ঘটনার বিষয়ে আমি মৌখিক ভাবে সুনেছি এবং আহত ব্যক্তী নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারীত জেনে আপনাদের জানাবো বলেও জানান।স্থানীয় একাধীক ব্যক্তী জানান,সাহাবাদ ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে,কোন সময় কি হয় বলা যাচ্ছে না,এখনি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিৎ বলেও মনে করছেন স্থানীয়’রা।