বিশেষ প্রতিবেদক ঃ ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে আমরা এখন দারিদ্র্যকে পরাজিত করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি। সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি তাহলে আমাদের জাতিগত ঐক্য সুদৃঢ় হবে, আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি হবে।
আইজিপি শনিবার ১৬ এপ্রিল, সকালে রাজধানীর রমনায় কেন্দ্রীয় পুনাক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) আয়োজিত ‘চেতনায় বাঙালি বোধে দেশপ্রেম’ শ্লোগানে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী লোকজ মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের যা যা ঐতিহ্য রয়েছে তা আমরা শোকেসিং করতে চাই। যাতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি।
আইজিপি বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ইস্পাত কঠিন দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।যখন আমাদের দেশপ্রেম কঠিন হবে তখন আমরা দলীয় স্বার্থ, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেব না।
তিনি বলেন, বৈশাখী মেলা আশির দশক থেকে শুরু হয়েছে। প্রাচীন চৈত্র সংক্রান্তি মেলা পরবর্তীতে বৈশাখী মেলায় রূপান্তর হয়েছে। আশির দশক থেকে শহরে এ মেলা শুরু হয়েছে। এখন আমরা বৈশাখী মেলা উদযাপন করি।
তিনি বলেন, আমাদের যে ইতিহাস রয়েছে, জাতিসত্তার বাঁকে বাঁকে যে ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে এখন আবিষ্কার করার বিষয় আছে। এগুলো বহতা নদীর মতো আমরা বহন করে যাচ্ছি।
আইজিপি বলেন, পুনাক বাংলাদেশ পুলিশের পারিবারিক সংগঠন। করোনাকালে গত দুই বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য পুনাক নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
আইজিপি বলেন, পুনাক তাদের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি গৃহীত পুনাকের বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতে পুনাকের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা বলেন, পুলিশ পরিবারের নারীদের সংগঠন পুনাক নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায়ও কাজ করে যাচ্ছে।
পুনাক সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রোগ।
আমরা অনেকেই জানিনা কে থ্যালাসেমিয়ার বাহক, কে মেজর, কে মাইনর। তিনি থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে পুনাক নেতৃবৃন্দ এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য রেলি ডিবি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কোতোয়াল চত্বরে এসে শেষ হয়। পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা রেলিতে নেতৃত্ব দেন।