যশোরে যৌন ও ক্যান্সার এর ঔষধ অবৈধভাবে তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড সহ ১ লাখ টাকা জরিমানা

Uncategorized আইন ও আদালত

 !! ননী ফল নার্সারির আড়ালে প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে প্রতারণা সহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ অবৈধভাবে তৈরি করতেন খন্দকার কবির হোসেন !!


বিজ্ঞাপন

সুমন হোসেন (যশোর) ঃ  যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ায় ননী ফল নার্সারির আড়ালে দীর্ঘ দিন যাবত যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে প্রতারণা সহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ অবৈধভাবে তৈরি ও বাজারজাতের দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে।জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ১৭ মে, দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সৌম্য চৌধুরীর ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জেল-জরিমানা করা হয়।

উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে, সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান ও স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি এইচ.এম. শফিকুর রহমান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস গণমাধ্যমে জানান, খন্দকার কবীর হোসেন চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। আসলে তিনি চিকিৎসক নন।
কবীরের চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার তার ডেরায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতারণা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি চিকিৎসক হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ফলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩ (তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সিভিল সার্জন আরও জানান, কবীরের চিকিৎসা কার্যক্রমের চেম্বার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন যশোরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান গণমাধ্যমে জানান, ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তিনি অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে বিক্রি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান আরও জানান, অবৈধভাবে ওষুধ তৈরি ও বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় ওষুধ আইনের ১৯৪০ এর ১৮ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কবীরের তৈরি ভুয়া ওষুধ জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।