বান্দরবানে নতুন বিদ্রোহী গোষ্টির আত্মপ্রকাশ, আলাদা রাজ্যের দাবি

Uncategorized অন্যান্য

আজকের দেশ রিপোর্ট ঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (KNF) নামের এক নতুন সশস্ত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। তাদের সামরিক শাখার নাম KNA( কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি)।

বান্দরবানের বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে। তারা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম—এই উপজেলাগুলো নিয়ে আলাদা রাজ্যের দাবি করেছে। রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের ছয়টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। সেগুলো হলো বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি।

এই বিদ্রোহী গোষ্টির সভাপতি সভাপতি নাথান বম। তিনি রুমা উপজেলার এডেন পাড়ার অধিবাসী। নাথান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের স্নাতক। রুমার এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সেটা জানা যায়নি।নাথানকে মাস তিনেক ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

তাদের দাবি, তাদের সামরিক শাখার শতাধিক সদস্য গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে পাড়ি জমান বছর তিনেক আগে। ২০২১ সালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ফিরে আসে। চলতি বছর তারা আত্মগোপনে যায়। তবে গোয়েন্দা তথ্য বলছে তাদের সংখ্যা ২০-২৫ জনের বেশী হবেনা। সংগঠনে লোক ভেড়াতেই তাদের এই প্রচার।

এর আগে ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময় ম্রো ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) নামের একটি দল গড়ে ওঠে বান্দরবানের আলীকদমে। খুন, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কাজে জড়িয়ে পড়ে দলটি। এরপর ২০১৫ সালের নভেম্বরে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানে বাধ্য হয়ে দলটির ৭৯ জন সদস্য একযোগে আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর দলটির তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। ওই বছরই আলীকদমে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর কিছু তরুণ সদস্যকে নিয়ে আরেকটি সশস্ত্র দল গঠিত হয়। এর প্রধান রুংজুমা ত্রিপুরা প্রতিবেশী একটি দেশে চলে গেছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। ওই দলেরও এখন কোনো তৎপরতাও নেই।

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আগে বান্দরবানে ‘মগ পার্টি’ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতা শুরু হয়। মারমা জাতিগোষ্ঠীর কিছু সদস্য এ দল গঠন করে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। সর্বশেষ আত্মপ্রকাশ করল কেএনএফ।


বিজ্ঞাপন