নড়াইলে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপরে হামলার ঘটনা তদন্ত না করায় ওসি সুকান্ত’র অপসারনে দাবিতে মানববন্ধন

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের কালিয়ায় দুই মুক্তিযোদ্ধার ওপর প্রকাশ্যে হামলার প্রতিবাদ না করায় দূর্নীতিবাজ ওসির অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।নড়াগাতি থানার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা’রা আজ (১৬ জুন) বৃহস্পতিবার সকালে নড়াগাতি থানার অফিসার্স ইন্চার্জ ওসি সুকান্ত সাহা’র অপসারনের দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধা’র উপরে হামলার ঘটনায় ওসি সুকান্ত সাহা থানায় মামলা না নিয়ে অনৈতীক সুভিদা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন,মুক্তিযোদ্ধা’রা এবং আদালতে মুক্তিযোদ্ধার দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে নড়াগাতি থানা পুলিশের ওসি সুকান্ত সাহা ধামাচাপা দেয় বলে অভিযোগ করেন,মুক্তিযোদ্ধাসহ মানববন্ধনের বক্তা’রা। এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনের সড়কে প্রায় ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে হামলার শিকার দুই মুক্তিযোদ্ধা উপজেলার খাশিয়াল গ্রামের মৃত-লাল মিয়া বিশ্বাসের ছেলে,পীর মহাম্মাদ বিশ্বাস ও পুটিমারি গ্রামের মৃত-আনোয়ারুল হকের ছেলে শিকদার বদরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন,খাশিয়াল গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখ গত ১৯ মে মিজানুর রহমান বিশ্বাসের নেতৃত্বে,পীর মহাম্মাদ বিশ্বাসের ওপর গত ১৭মে পৃথক দুটি হামলার ঘটনা ঘটায় এবং ঘটনার পর তারা দুজনই উপজেলার নড়াগাতি থানায় মামলা করতে যান,কিন্তু ওসি সুকান্ত সাহা মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দিলে বদরুজ্জামান গত ২২মে ও পীর মহাম্মাদ বাদি হয়ে গত ১৯মে নড়াইলের ম্যাজ্যিষ্ট্রেট আদালতে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলার তদন্ত করতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নড়াগাতি থানার ওসির উপর ন্যস্ত করেন,কিন্তু ওসি সুকান্ত সাহা আসামীদের থেকে মোটা অংকের টাকায় প্রভাবিত হয়ে পীর মহাম্মাদের মামলাটির চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলেও বদরুজ্জামানের মামলাটির তদন্তে গড়িমশি করছেন বলে অভিযোগ করেন,মুক্তিযোদ্ধ’রা। মানববন্ধন চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা ইমদাদুল হক,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাউন্সিলর সাবেক কমান্ডার মো.শাহজাহান বিশ্বাস,মো.শেখ তরিকুল আলম মন্নু ও মো.নজরুল ইসলাম,মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী নওশের আলী প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তা’রা,অভিযোগ করে বলেন,নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা জামাত বিএনপি লালন পালন করেন এবং নিজে বিএনপি সমর্থক ও জামাত বিএনপি সমর্থকদের সহযোগিতা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্মান নষ্ট করার লক্ষে বিএনপি জামাত সমর্থকদের থেকে অনয়তীক সুভিদা আদায়ের লক্ষে বিএনপি পন্থিদের সাথে চলাচল করে দেশের সুর্যসন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মিজানুর রহমান বিশ্বাস ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে ওসি সুকান্ত সাহা লাভবান হওয়ার জন্য দুই মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনায় কোন আইনী পদক্ষেপ নেননি বলে জানান মুক্তিযোদ্ধাগণ। এ দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা’র দায়ের করা মামলার রিপোর্ট আদালত চুড়ান্ত ভাবে দিয়েছে ওসি সুকান্ত সাহা’র অধীনে কিন্তু ওসি সুকান্ত সাহা ব্যেআইনী ভাবে তদন্ত রিপোর্ট দেয় বলেও অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা’রা। অবিলম্বে ওসি সুকান্ত সাহা’র অপসারণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ওসি সুকান্ত সাহার বিচার দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা’রা। উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,মুক্তিযোদ্ধাদেরএকটি মামলা যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,আরেকটি মামলা তদন্তধীন আছে,আমি কেন কিষের জন্য দেশের সুর্যসন্তানদের বিপরিতে গিয়ে তাদের অসন্মান করবো,আইন সবার জন্য সমান,আমি কোন অপরাধের সাথে আপস করি না,সে যেই হোক না কেন,আমি আইনের প্রতি অটুট থেকে আমার কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করি,আমার নামে অহেতুক মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহী অভিযোগ করেছে,যে টা আমার উর্ধতন কর্মকর্তাগণ তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *