নড়াইলের বিছালী গ্রামে ডন ভাটার অবৈধ টলি দিয়ে মাটিবহনে অতিষ্ট গ্রাম বাসি,ধধংস হচ্ছে রাস্তাঘাট

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম নড়াইলঃ
নড়াইল জেলার ১২নং বিছালী ইউনিয়ন এর বিছালী গ্রামে আউড়িয়া গ্রামের কুশল নামের এক ব্যক্তি ডন বিক্সস ইটের ভাটা পরিচালনা করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডন বিক্সস ভাটার যাবতীয় মাটি অবৈধ নিষিদ্ধ টলি দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি ভাটায় আনা নেয়া হয়,যে কারনে সরকারের ধংশ্য হচ্ছে কোটি কোটি টাকা এবং সড়কে মাটি পড়ে পিছলে হওয়ায় দূর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে একাধীক ব্যক্তি। টলি চলাচলে রাস্তায় টলির মাটি পড়ে পাকা রাস্তা,কাচা রাস্তায় পরিনীত হয়েছে এবং এ পাকা রাস্তা চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জেলায় যাওয়া আসার জন্য জনসাধারণ চলাচল করে,যেমন চাকই,রুখালী,রুনদিয়া,সিংগাড়ী,ভাটপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জনসাধারণ চলাচল করে। এদিকে অবৈধ নিষিদ্ধ মাটি বহনকারী টলি থেকে মাটি রাস্তার উপর পড়ে পাকা রাস্তা,কাঁচা রাস্তায় পরিনত হয়েছে,জনসাধারণের চলাচল বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তায় মাটি থাকায় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকগণ যেমন রাস্তায় মাটি থাকায় ব্রেক করলে মোটরসাইকেল হয় গর্তে যাবে,না হয় রাস্তায় গড়াগড়ি খাবে,না হয় পথচারির সাথে দূর্ঘটনা ঘটাবে,না হয় মোটরসাইকেল ইজিবাইক দূর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়তই,কিন্তু এ অনিয়ম দেখার কেউ নাই।ঘনবসতি গ্রামের মধ্যে ইটের ভাটা করার নিয়ম না থাকা সর্ত্বেও অদৃশ্য কারনে নিয়মে পরিনিত হয়ে বহাল তবিয়াতে চালাচ্ছা ডন ভাটা। ডন ভাটায় দেখা যায়,৩০০ টাকা মুজুরি দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়াস্ক শিশু শ্রমিক দিয়ে তৈরি করাচ্ছে ইট এবং অবৈধ ভাবে পোড়ানো হয় কাঠ,এমন অনিয়মের সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রচারিত হলেও উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগণ নেইনি কোন ব্যবস্থা বলে এ ধরনের অনিয়মের মধ্যদিয়েয় চালাচ্ছে ডন বিক্সস। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় এবং স্থানীয়’রা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে জানান,ভাটার কালো ধুয়ার জন্য দম বন্ধ হয়ে আসে এবং একটু বাতাসে আমাদের বাড়ি ঘরে কালো ধোয়াসহ বালিতে ঘর বাড়ি ভরে যায়,ঘরের আসবাপত্র ও কাপোড় চোপড় কালো ধোয়ার কালিতে কালো হয়ে যায়। এতে করে আমরা সর্বদায় শাসকষ্ট রোগে ভুগছি এবং আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করতে পারি না কালো ধোয়া ও বালির জন্য। আমরা বার বার উদ্ধর্তন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগসহ মানববন্ধন করলেও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা নেননি বা নিচ্ছেন না কতৃপক্ষ বলেও জানান।
গ্রামেই একটি বিট পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কোন প্রকার আইনের সহযোগিতা পান না সাধারণ জনগণ, সর্ব প্রকার আইনের চোখ বন্ধ করে চালিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটা’র কার্যক্রম বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় গ্রাম বাসি। স্থানীয় আওয়ামী-লীগ নেতা সহ একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান,টাকার কাছে সব অনিয়ম নিয়মে পরিনত হয়,অবৈধ টলিতে মাটি আনা নেয়ায় নষ্ঠ হচ্ছে সড়ক এবং সরকারের কোটি কোটি টাকা ধংশ্য হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনা জনগনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সড়ক করে দিলেও কিছু কুচক্রী মহল সরকারে ভাবমূর্তি নষ্ট করাসহ সরকারের উন্নয়নমুলক কাজ ধংশ্য করে নিজে লাভোবান হচ্ছেন এবং কিছু উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে বহাল তবিয়াতে। এদের কিছুই করতে পারবে না বা করবে না আইন,কারন উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালান এ ডন ভাটা বলে বিভিন্ন মহলে প্রচার করেন এবং কেউ প্রতিবাদ করলে এসব বলে ভয় দেখান ডন ভাটার মালিক কুশল বলেও জানান। এদিকে সরজমিনে খবর নিয়ে আরো জানা যায়,ডন ভাটার দেখা দেখে অবৈধ টলিতে করে বিভিন্ন গানাগর্ত পুকুর ভরাটসহ মাটির ব্যবসা করছেন অনেকেই,এসব অবৈধ টলি দিয়ে মাটি আনা নেয়ার কারনে ধংশ্য হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার তৈরি সড়ক এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক জানান,আমি একা সড়ক ধংশ্য করছি না,দির্ঘদিন ধরে ডন ভাটা টলিতে করে মাটি আনা নেয়া করে তাদের তো কিছু বলেন না,যত অপরাধ আমরা করছি,ডন ভাটার মাটি আনা নেয়া বন্ধ করুক আমিও সাথে সাথে টলিতে করে মাটি আনা নেয়া বন্ধ করে দিব বলেও জানান। মাটি ব্যবসায়ী আরো জানান,ডন ভাটার মালিক কুশল স্থানীয় কিছু নেতা কর্মি’র মন যুগিয়ে চলে বলে তার ভাটা নানা অনিয়মের মাধ্যমে চলে। উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন গ্রাম বাসি তথা অতিষ্ট সাধারণ জনগণ এবং অবৈধ টলিতে করে মাটির ব্যবসা করার জন্য সড়ক দিয়ে আনা নেয়া বন্ধ করাসহ ডন ভাটা বন্ধ করার যোঁর দাবী জানান,এলাকা বাসি।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *