নীলফামারিতে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধকল্পে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নীলফামারিতে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

জানা গেছে, সুরক্ষা সেবা বিভাগ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়, নীলফামারী এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক, নীলফামারী আয়োজনে মঙ্গলবার ২১ জুন, নীলফামারী সরকারি কলেজ হলরুমে সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (কম্প্রেনসিভ একশান প্লান) প্রণয়নে কর্মশালায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলী রেজা সিদ্দিকী, যুগ্নসচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,ঢাকা।

মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (কম্প্রেনসিভ একশান প্লান) প্রণয়ন কর্মশালায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) পুলিশ সুপার, নীলফামারী মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম।

মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধ কল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার, নীলফামারী বলেন বর্তমান সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি থাকায় তরুণ সমাজ ব্যবস্থাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন বাংলাদেশ পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় মাদক নির্মূলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে সমাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে মাদক নির্মূল করা এখনো সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার। মাদকের এই ছোবল থেকে তরুণ প্রজন্ম কে যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনি আমাদের সমাজ ব্যবস্থার মূল ধারা কে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে তাদের নিজ-নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে মাদকের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব।

পুলিশ সুপার আরও বলেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

তারা মাদক নির্মূলে মাঠ পর্যায়ে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, জন প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রচার প্রচারণা মাধ্যমে মাদকবিরোধী কার্যক্রম বিস্তারে কাজ করছে।

এছাড়াও পুলিশ সুপার বলেন সমাজ ব্যবস্থায় যেমন শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম তেমনি খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদন এর পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীদের মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তিনি বলেন প্রত্যেকটি মানুষকে মনে রাখা উচিত একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে মাদক বড় অন্তরায়।

তাই মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সহ যে সকল প্রতিষ্ঠান মাদকের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদেরকে সহযোগিতা করে মাদক বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই নেতৃত্বে এগিয়ে আসবে দেশের মেধাবী, তরুণ ও মাদকমুক্ত যুব সমাজ।

সবশেষে পুলিশ সুপার বলেন সমাজব্যবস্থায় মাদক সেবনের হার বৃদ্ধি পেলে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই, ধর্ষণ, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং সহ সামাজিক ব্যাধিগুলি বৃদ্ধি পায়। আসুন আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে না বলি, সুস্থ সমাজ গড়তে মাদক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলি।

মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার রোধ কল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (কম্প্রেনসিভ একশান প্লান) প্রণয়নে কর্মশালায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মোঃ দিদারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ, নীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণীর পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান জুড়ে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা প্রশাসক, নীলফামারী।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *