আজকের দেশ ডেস্ক ঃ ড. ইউনূস কেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন? সমস্যার শুরুটা কোথায়? অনেকের একটা প্রশ্ন আছে, ড. ইউনূস কেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন? সমস্যার শুরুটা কোথায়? দেখা যাক সেই বিষয়টি।ড. ইউনূস নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে দেশের ক্ষতি করেছেন, পদ্মা সেতুর কাজ আটকে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি দেখতে পারেননা- এসব সবাই জানেন। ইউনূস ভেবেছিলেন পদ্মা সেতু না হলে শেখ হাসিনা বেশ জব্দ হবেন। সেই চিন্তায় তিনি যে দেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। গ্রামীণফোন থেকেই সেই ক্রোধের উৎপত্তি। অথচ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনাই গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিয়েছেন।এর আগে বিএনপি আমলে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে দলের নেতা এম মোরশেদ খানকে মনোপলি ব্যবসা করতে দিতে সিটিসেল ছাড়া আর কোনো মোবাইল ফোন কোম্পানিকে লাইসেন্স দেননি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ড. ইউনূস তথা গ্রামীণফোনকে (যার শেয়ার হোল্ডার গ্রামীণ টেলিকম) লাইসেন্স দিয়ে সেই মনোপলি ব্যবসা ভেঙে দেন। সিটিসেলে ইনকামিং চার্জ ছিল। গ্রামীণও ইনকামিং চার্জ আরোপ করে। শেখ হাসিনা সিটিসেল ও গ্রামীণফোনের ইনকামিং চার্জের বিরোধিতা করায় ক্ষিপ্ত হন ড. ইউনূস! তিনি তখন বেশ কিছু মার্কিন সিনেটর-কংগ্রেসম্যানকে দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি লেখান! এসব চিঠিতে লেখা হয় ‘ড. ইউনূস আমাদের বন্ধু। তাকে যেন সরকার দেখে রাখে’! কিন্তু সবাই জানেন, বিদেশি চাপ-খবরদারিকে থোড়াই কেয়ার করেন জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা।আর তাই শেখ হাসিনাও ইনকামিং চার্জ বাতিলের বিষয়ে অটল থাকেন। ড. ইউনূসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের তিক্ততা তখন থেকে।