নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গত মঙ্গলবার ২ আগস্ট রাত্রি অনুমান সাড়ে ১১ টা থেকে গত ৩ আগস্ট তারিখ রাত্রি অনুমান ৩ টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া হতে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের ১টি বাসে (পাবনা-ব-১১-০১৫৪) অনুমান ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বাসের যাত্রীদের ডাকাতিসহ একজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় মধুপর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৩-০৮-২০২২, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড তৎসহ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) ধারা- ৯(৩) রুজু হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪ আগস্ট ভোর অনুমান ৫ টার সময় ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ১ জন আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়। উক্ত আসামী বর্তমানে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেয়া তথ্য মতে অফিসার ইনচার্জ ডিবি (উত্তর), টাঙ্গাইল এর নেতৃত্বে ডিবি (উত্তর), টাঙ্গাইলের একাধিক চৌকস টিম নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতি ও গণধর্ষণ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামি মোঃ আউয়াল (৩০), পিতা-শুকুর আলী, মাতা- আমিরজান, গ্রাম-কাঞ্চনপুর, থানা- কালিয়াকৈর, জেলা-গাজীপুরকে শুক্রবার ৫ আগস্ট ভোর-৫ টার সময় গাজীপুর জেলার সুত্রাপুর টান কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার কৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তার দেওয়া তথ্য মতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সকাল ৯ টার সময় আসামি নুরনবী (২৬), পিতা-বাহেজ উদিন, মাতা- জরিনা বেগম, গ্রাম- ধোনারচর পশ্চিমপাড়া, থানা-রৌমারী, জেলা-কুড়িগ্রাম, বর্তমান ঠিকানা-শিলাবহ পশ্চিমপাড়া, সোহাগপল্লী, থানা-কালিয়াকৈর, জেলা-গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী নুরনবীর নিকট থেকে ডাকাতি ঘটনার লুন্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতি ও গণধর্ষণের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। ঘটনায় জড়িত থাকা অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।