মোস্তাফিজুর রহমান,জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শিশু অপহরণের ৫ ঘণ্টা পর রহমত উল্লাহ (১৫ মাস) বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করে শুক্রবার ( ১৯ আগস্ট) জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার ভূরারবাড়ী গ্রামে শরিফ আহম্মেদ তার শ্বশুরবাড়ীতে স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও শিশু সন্তান রহমত উল্লাহ (১৫ মাস) বয়সী শিশুকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভূরারবাড়ী গ্রামের জনৈক মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক) এর বাড়ীর সামনে কাচা রাস্তায় হাটাহাটি করিয়া শিশু রহমত উল্লাহ কে শিশুর মা রাজিয়া বেগম খাওয়াইতে ছিলেন।
ওই শিশুকে খাওয়ানোর শেষে ভূরারবাড়ী গ্রামের মৃত আ: জব্বার (গেন্দা কসাই) এর ছেলে সোনা মন্ডল (চেনা) শিশু রহমতউল্লাহকে পাশের দোকানে নিয়া যাওয়ার কথা বলে কৌশলে চুরি করে পাচার করার জন্য শিশুটিকে নিয়ে চম্পট দেয়।পরে শিশুটির মা রাবেয়া বেগম সহ পরিবার পরিজন অনেক খোজাখুজি করেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।
অনেক খোজাখুজির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান সাড়ে ৩ টার সময় মাদারগন্জ উপজেলাধীন কয়রাপাটাদহ গ্রামে ভূরারবাড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমান এর স্ত্রী ফজিলা বেগম এর নিকট শিশু রহমত উল্লাহ’র সন্ধান পায় পরিবার পরিজন।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় সন্দেহভাজন অপহরণকারী সোনা মন্ডল (২৫) ও ফজিলা বেগম (৩৫) কে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ এর কাছে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট )রাতে অপহরণের শিকার শিশুটির পিতা শরীফ আহম্মেদ বাদী হয়ে দু জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে শিশুকে হেফাজতে রাখা ও সহায়তার অপরাধ এনে মামলা দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে সন্দেহভাজন অপহরণকারী সোনা মন্ডল (২৫) ও ফজিলা বেগম(৩৫) কে পুলিশ গ্রেফতার দেখিয়ে জামালপুর জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর নিশ্চিত করেন।এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কসহ চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
